করোনায় ঈদবাজার ও ঈদ উদযাপন
সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ::
সারা পৃথিবী আজ এক নিরব ঘাতকের আক্রমণে মুমূর্ষু। সরব পৃথিবী অজানা আতঙ্কে নিরব-নিস্তব্ধ। দুনিয়ার চিরচেনা রূপ যেন আজ সম্পূর্ণই অচেনা। মসজিদের সেই জৌলুশ আজ আর নেই বললেই চলে। মকতবে শিশুদের আদুরে কন্ঠে আলিফ, বা, তা, আলহামদুলিল্লাহ-এর মধুর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না দীর্ঘদিন। মাদরাসার টুল-টেবিলগুলো শিক্ষার্থীদের স্পর্শ পেতে কেঁদে চলছে অবিরাম। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো প্রাণহীন। আগের সেই কোলাহল, প্রাণচাঞ্চল্য আজ আর নেই। সূর্যের উদয়াস্ত আছে। নেই প্রকৃত আলো। চারিদিকে অন্ধকার আর অন্ধকার। মাটির উপরের দাপুটে অনেক চেনা মুখ আজ মাটির নিচে। খসে পড়েছে অনেক তারকা। বিশ্বকে মাতিয়ে রাখা অনেক কণ্ঠ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। পৃথিবীতে আলো ছড়ানো অনেক সূর্যসন্তান নিভে গেছে অকালে। আয়ের চাকা বন্ধ। গতকালও যারা ধনী ছিল আজ তারা সর্বহারা। আকস্মিক এক ঝড়। তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু। পরিবর্তন করে দিয়েছে পৃথিবীর গতিপথ। পাল্টে দিয়েছে জীবনযাত্রা। ভেঙে দিয়েছে স্বপ্ন। গুড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যাশার রাজপ্রাসাদ। পৃথিবীর সব স্বাধীন দেশে সাংবিধানিক সরকার থাকলেও এখন সাতশো কোটি মানুষের এ গোটা দুনিয়ায় রাজত্ব এক অদৃশ্য শক্তির। সেই অদৃশ্য রাজার নাম মহামারি করোনা ভাইরাস। নভেল করোনা ভাইরাস বা কভিট’১৯।
এ অদৃশ্য শক্তির আগমন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। চিনে জন্ম নেওয়া মরণঘাতী ভাইরাস আর চীনের উহানে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। যদি বলি তাকে ছাড়া পৃথিবীর কোন দেশ ও অঞ্চল নেই, তাহলে একবিন্দুও বাড়িয়ে বলা হবে না। তার আধিপত্য এখন সবখানে। গোটা দুনিয়া করোনা যুদ্ধে লিপ্ত। পৃথিবীর বাঘা-বাঘা দেশও করোনার কাছে অসহায়। এযাবৎ এ গোপন ঘাতক ওপেন কেড়ে নিয়েছে পৃথিবীর তেত্রিশ লাখের কাছাকাছি তাজাপ্রাণ। কতো যে বাবা-মায়ের বুক খালি করেছে; কতো স্ত্রী অকালে সাদা শাড়ি বরণ করেছে; কতো সন্তান এতিমের পরিচয় সঙ্গী করেছে; কতো বাবা-মায়ের অবুঝ শিশুটি চিরদিনের জন্য চোখ বুঁজেছে তার কোন অন্ত নেই। আরো কতো ফুল অকালে ঝরে যাবে, কতো জীবনবাতি অবেলায় নিভে যাবে, আল্লাহ মালুম। করোনা মহামারি প্রথম ঢেউ থেকে দ্বিতীয় ঢেউ বেশি ভয়াবহ। আরও বেশি শক্তিধর। হাসপাতালের সিটে কাতরানো করোনা রোগিদের কাঁন্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে আসছে। একটু বাঁচার আকুতি। কৃত্রিম অক্সিজেনের অভাবে অনেক হাসপাতালের অসহায় আত্মসমর্পণ। হাসপাতালে সিট খালি নেই। আইসিইউ বেডের সংকট। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগিয়ে দেশগুলোর চিত্র আরও করুন। মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে উন্নত বিশ্বের দেশসমূহ। মেধায় যারা চাঁদের দেশে পৌছুতে সক্ষম তারাও ব্যর্থ করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে। করোনার ভয়াবহতা এতোদিন দূর থেকে দেখলেও, এখন একেবারে নিকটে। সীমান্তের ওপরে (ভারত) জ্বলছে! শ্মশানে জায়গা নেই। সৎকারের মানুষ নেই। দিল্লির রাস্তায় পরে আছে করোনায় মৃতের লাশ। চলছে মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিদিন ভাঙছে করোনায় প্রাণহানি ও আক্রান্তের রেকর্ড। পিছিয়ে নেই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশও। একদিনে শতের উপর মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে দেশে চলছে কড়াকড়ি লকডাউন। সরকার বেধে দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। মহামারি থেকে বাঁচতে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শারীরিক দূরত্ব বজায় চলা। বিশ্বময় একটিই শ্লোগান, ঘরে থাকুন, মুখে মাস্ক পড়ুন। ঘরে থাকাটাই যখন এ যুদ্ধ জয়ের প্রধান হাতিয়ার। শারীরিক দূরত্বে থেকে মাস্ক পড়াটাই যখন মহামারির প্রাথমিক প্রতিষেধক। ভয়ে আতঙ্কে সচেতন মহলের যখন ইয়া নফছী নফছী অবস্থা। তখন আমাদের দেশের এক শ্রেণির অদম্য শপিং পাগল দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে! যেখানে বলা হচ্ছে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে, সেখানে তারা গাদাগাদির প্রতিযোগিতা লাগিয়ে দিয়েছে। নূন্যতম শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। হাজার টাকার শপিং করতে পারে কিন্তু জীবন বাঁচাতে পাঁচ টাকার মাস্ক কিনতে পারে না বাঙ্গালী। শপিংমল থেকে শুরু করে সাধারণ দোকানপাট ও ফুটপাতে মানুষ ঈদের জন্য কেনাকাটায় হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এ দৃশ্য শুধু ঢাকাতেই নয় মফস্বল শহর, উপজেলা এবং গ্রামের বড় বড় বাজারেও দেখা যাচ্ছে। শুধু ক্রেতারাই নয়, বিক্রেতাদের বেশিরভাগই মাস্ক ঠিকমতো পরছেন না, দোকানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখারও দৃশ্য চোখে পড়ে না, হাত ধুয়ে কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজ করে শপিংমলে প্রবেশ করার নিয়মও তেমন কেউ মানছেন না। আরে ভাই আমি/আমরা বাঁচলেই ঈদ কিংবা ঈদের শপিং। না-ই যদি বাঁচি তাহলে এ শপিং কার জন্য! সীমান্তের ওপরের আগুন আমাদেরকে আতঙ্কিত করলেও সচেতন করতে পারেনি।
এপারের কিছু যুবক-যুবতী, নারী-পুরুষ বুঝতেই চাইছে না, মার্কেটে যে নতুন কাপড়ের সাথে মরণঘাতী করোনা ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে। এ ফ্রি করোনা নিজের ও পরিবারের সকলের কাফনের কাপড়সহ ফ্রি করে দিবে, সেই বোধোদয় হচ্ছে না কিছু নারীর। নারী বলার কারণ হচ্ছে, মার্কেটের প্রতি ঝুকটা তাদের বেশি। স্বামী প্রবাসে চাকরিহারা অথবা বেতন বন্ধ। অসহ্য কষ্টে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে কারো-কারো। এ রমজানে ইফতারও জুটছে না রেমিট্যান্স যুদ্ধা অনেক প্রবাসীর ভাগ্যে। আর দেশে স্ত্রী দুবাই ওয়ালার বউ বলে দিব্বি মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ অযুহাত দিচ্ছে সন্তানের। আবার কেউ তো সরাসরিই বলছে- ঈদ এসেছে, মার্কেট করব না তা কিকরে হয়! শুধু প্রবাসীদের স্ত্রী বলে না, এ দৌঁড়ে পিছিয়ে নেই দেশীয়রাও। আমার অভিযোগ ঢালাওভাবে সবাইকে নিয়ে নয়। যারা এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মার্কেটে যাওয়াটা ফরজে আইন ধরে নিয়েছে, তাদের দিকে আমার অভিযোগের আঙ্গুল। করোনা মহামারির ১০ নম্বর বিপদ সংকেত জারি থাকা সত্ত্বেও এক নম্বরের গুরুত্বও মানুষ দিচ্ছেন না। ফলে আতঙ্ক, আশঙ্কা, হতাশা, নিরুপায় আমাদের অনেকের ওপরই ভর করে আছে। তবে এই সংখ্যাটি ১৭ কোটি মানুষের তুলনায় নগণ্য। অন্যদিকে, পাখি ড্রেস কিনে না দেওয়ায় বাবার সাথে রাগ করে কন্যার আত্মহত্যা; ঈদে পছন্দসই পোশাক না পেয়ে ছেলের আত্মহত্যা; দামী শাড়ি কিনে না দেওয়ায় স্বামীকে স্ত্রীর ডিভোর্স। মিডিয়ায় ঈদের আগে এগুলো কমন সংবাদ।
এগুলো ঈদ শপিংয়ের অপূর্ণতায় ঘটে যাওয়া নিষ্ঠুর বাস্তবতা। যা মিডিয়ার চোখে দেখা। ক্যামেরার অগোচরে ঈদ শপিং সংক্রান্ত আরও কত পারিবারিক কলহ যে ঘটে যাচ্ছে তার কোন অন্ত নেই। আমাদের আশপাশে এমনও দেখা যায়- পছন্দের কাপড় না পেয়ে ঈদ করছে না অনেকে। ঈদের জামাতেও দেখা নেই। এসব শুধু ছোটদের সংস্কৃতি নয়; বরং কিছু-কিছু ক্ষেত্রে অনেক বুঝদাররাও এ কাতারের গর্বিত অংশীদার! এসব অপ্রীতিকর দৃশ্য দেখে মনে হয়, ঈদে যেন নূতন পোশাকটাই মূখ্য। নূতন কাপড়ই যেন ঈদ গল্পের নায়ক। পছন্দসই শাড়িটিই যেন এ গল্পের প্রধান চরিত্র। অপরদিকে এসব অপ্রীতিকর ঘটনা ঈদ গল্পের খলনায়ক বানিয়ে দেয় পরিবারের বড়কর্তা তথা পিতা কিংবা স্বামীকে। বাবা কেন কিনে দিলোনা সেই পোশাক, যা আমি চাই; স্বামী এতো কিপটে কেন? এসব আফসোসের আকুতি অসহায় কর্তাটাকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করায় পরিবারের সদস্যরা। যে মানুষটি নিজের সর্বস্ব দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে সদাজাগ্রত। সে মানুষটাই আজ অপরাধী! মার্কেটে যেতে বিপদগ্রস্ত স্বামী থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আদায় করা অতিচালাক স্ত্রী ও অসহায় পিতাকে ছাড় না দেওয়া সন্তানদের দৃশ্যগুলো যখন দেখি, তখন মানসপটে ভেসে উঠে আমিরুল মুমেনিন হযরত ফারুকে আজম (রাঃ)-এর ঈদ শপিং এর শিক্ষনীয় করুন ঘটনা।
ঈদের আগের দিন অর্ধ পৃথিবীর ন্যায়পরায়ণ বাদশা হযরত ফারুকে আজম (রাঃ)-এর স্ত্রী খলিফাকে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে। কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে। খলিফা বললেন, আমার তো নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই! পরে খলিফা ওমর (রাঃ) হযরত আবু উবাইদাকে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন। অর্ধ দুনিয়ার শাসক হযরত ওমর (রাঃ)-এর খিলাফতের প্রথম দিকে অর্থমন্ত্রী ছিলেন হযরত আবু উবাইদা (রাঃ)। তখন রাষ্ট্রীয় কোষাগার তিনিই দেখাশুনা করতেন। সমগ্র মুসলিম জাহানের খলিফা যিনি, যিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরনের চিঠি পাঠ করে হযরত আবু উবাইদা অশ্রুসিক্ত হলেন।
হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) খলিফাকে টাকা না দিয়ে চিঠির উত্তরে লিখলেন, আমীরুল মুথমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দু’টি বিষয়ে আপনাকে ফায়সালা দিতে হবে। প্রথমত, আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না? দ্বিতীয়ত, বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবেন কিনা? চিঠি পাঠ করে হযরত ওমর (রাঃ) কোন প্রতি-উত্তর তো দিলেনই না; বরং এতো কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি পর্যন্ত ভিজে গেলো। আর হাত তুলে হযরত আবু উবাইদার জন্য দোয়া করলেন- হে আল্লাহ! আবু উবাইদার উপর রহম কর, তাঁকে হায়াত দাও। হ্যাঁ, অর্ধ পৃথিবীর ন্যায়পরায়ণ বাদশা ফারুকে আজমের আর উনার পরিবারের জন্য ঈদের নতুন জামা-কাপড় কেনা হয়নি। উনি চাইলে পারতেন কোন এক যুক্তিতে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ নিতে, কিন্তু তা না করেননি; বরং অর্থমন্ত্রীর সাহসী উত্তরের জন্য তাঁকে দোয়া করলেন। এ পৃথিবীতে এমন দৃশ্য বিরল বলেই আজ গণতন্ত্র পাঠ্যবইয়ে আবদ্ধ। ঐ সময়ে ছিল মুক্তবুদ্ধি চর্চার স্বাধীনতা। ছিল জনগণের পূর্ণ অধিকার। তাই তো ফারুকে আজমের শাসনামলে যাকাত গ্রহণকারীর সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিলো। খলিফার শাসন এতো সুচারু ছিলো। এত বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিলো যে, বিধর্মী ইতিহাসবিদগণও ফারুকে আজমের প্রসংশা করতে কার্পণ্য করেননি। আর নেতৃত্বের মডেল এ খলিফাই ঈদ করেছেন পুরাতন জামায়। শুধু কী তিনি? না না। উনার অবুঝ শিশুও। এগুলো শুধু ইতিহাস নয় বরং ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও বেঁচে থাকার প্রেরণা। দিগন্ত জয়ের সাহস। একটু ভাবুন আমি আপনি সাধারণ মানুষ। কোথায় বাদশা আর কোথায় আমরা। বাদশার ঈদ যদি হয় পুরাতন কাপড়ে আমরা কেন প্রাণ বাঁচাতে পুরাতন কাপড়ে ঈদ করতে পারবো না? ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ (দ.)-এর অনেক ঈদ পুরাতন কাপড়ে কেটেছে।
ইসলামের ত্রাণকর্তা সিদ্দিকে আকবর (রাঃ), পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনীদের একজন উসমান যুন্নুরায়ন (রাঃ), মওলায়ে কায়েনাত আলী (রাঃ), শ্রেষ্ঠ রমণী খাতুনে জান্নাত মা ফাতেমা (রাঃ), জান্নাতের যুবাসরদার হাসনাইনে করিমাইনের ঈদের ইতিহাস লেখতে গেলে চোখ অশ্রুসিক্ত হবে। আপ্লুত হবে কঠিন হৃদয়ের মানুষও। আমরা এ মহান হাস্তিদেরই অনুসারী দাবীদার। আমরা কেন মনকে মানাতে পারবো না? ঈদকে যদি আসলে ইসলামের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, তাহলে প্রিয় নবী (দ.) ও সাহাবায়ে কেরামের ঈদ পালনের ন্যায় আমাদেরও ঈদ পালন হবে আদর্শ বান্দার পরিচয়। আসুন এবার ঈদ প্রিয়জনকে বাঁচাতে প্রিয় জনের কাছে গিয়ে নয় বরং প্রিয়জনের জন্য প্রভুর কাছে দোয়ার মাধ্যমে কাটাই। যেখানে আছি সেখানে সুস্থ থেকে পরিবারের সাথে কাটাই। মনে রাখবেন এটা একমাত্র ঈদ নয়। কিন্তু আপনার জীবন একমাত্র। এ একমাত্র জীবন অবশিষ্ট থাকলে অসংখ্যবার ঈদ করা যাবে। বেঁচে থাকলে অনেক ভ্রমণ করা যাবে। ঈদের পূর্ব রাত সারাবছরের শ্রেষ্ঠ রাতের একটা। এ রাত দোয়া কবুলের সুবর্ণময় মূহুর্তের অন্যতম। হেলায় না কাটিয়ে ইবাদতে কাটুন মর্যাদাপূর্ণ রাতটি। মহান আল্লাহ আমাদের সিয়াম সধনাকে কবুল করুন। এবারের ঈদ হোক ইবাদতে। দোয়া ও প্রার্থনায়। করোনার থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ব যেন তার চিরচেনা রূপে আবার ফিরে যায় সে প্রার্থনায়। অন্ধকার কেটে যেন আলোর ঝলকানিতে ভরে উঠে এ নীল-গগন। স্বজনের বাড়িতে বেড়ানোর মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে নয়; বরং ঈদ কাটুক মহামহিম খোদার জিকির আর প্রিয় মুহাম্মদ (দ.)-এর দরুদে। অন্ধকার কেটে নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় শেষ করছি।
সংগঠক ও প্রাবন্ধিক