রাঙামাটিতে ৭ বছরের মামলা সাতদিনে সফল মীমাংসা
সাত বছর ধরে আদালতে চলমান মামলা রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে সাতদিনে সফল মীমাংসা
নির্মল বড়ুয়া মিলন:: সিভিল কোর্টে সাত বছর ধরে বিচারাধীন মামলা জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আপোষে মীমাংসা করে নগদে ১৩ লাখ টাকা আদায়।
সময় লেগেছে সর্বোচ্চ সাত দিন, খরচ শূন্য টাকা।
বাদীগনের পক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বরাবর বিকল্প বিরোধ এর মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির আবেদন ও বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ রাঙামাটি আদালতের সিভিল’ মামলা নং- ৬৬৯/২০১৬ ইংরেজি সূত্রে জানাযায়, ১৯৮২ ইংরেজি সনের পূর্বে রিজার্ভ বাজার এলাকায় অবস্থিত নিউ রাঙামাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজিন্ন অবস্থা থাকায় এবং তৎকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্কুল উন্নয়নের জন্য তেমন কোন বরাদ্দ না থাকায় মামলার বাদীগন সম্পূর্ণ নিজ খরচে বিদ্যালয় রক্ষার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে একটি ধারক ওয়াল নির্মাণ করে। তাছাড়াও মামলার বাদীগন বিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করেন ।
২। ২৩/১০/১৯৮২ ইংরেজি সনে নিউ রাঙামাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নতিকল্পে এক সাধারন সভায় তৎকালিন মহাকুমা প্রশাসক সদর ও সভাপতি স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আব্দুল হাই রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৮/১২/১৯৯৪ ইংরেজি সনে তৎকালীন স্কুল, পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিরুপা দেওয়ান এর সহিত বাদীগনের সহিত পৃথক পৃথকভাবে দোকান ভাড়ার চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক ১ থেকে ৬নং বাদীগনের নিকট হতে জনপ্রতি ১৬ হাজার টাকা এবং এনং বাদী হতে ২৪ হাজার টাকা সেলামী হিসাবে গ্রহন করে দোকান বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
৩ ইতিপূর্বে দোকানঘর পরিত্যাক্ত জায়গা হিসেবে থাকলেও বাদীগণ নিজস্ব অর্থায়নে তা সংস্কার করি এবং ১৯৮২ ইংরেজি সন হতে ১৯৯৪ ইংরেজি সন পর্যন্ত খালি জায়গার ভাড়া প্রদান করি এবং নিজস্ব অর্থায়নে দোকানঘর নির্মাণ করেন। ১৯৮২ ইংরেজি হতে ২০২০ ইংরেজিপর্যন্ত দীর্ঘ ৩৮ বছর পর্যন্ত দোকানঘরটির সংস্কার বাদীগণের নিজস্ব অর্থায়নে করেন। অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ভাড়া গ্রহণ করলেও দোকানঘরটি সংস্কারের জন্য এক টাকার অর্থও ব্যয় করেননি।
৪।বাদীগন দোকান ঘর চুক্তির কোন শর্ত ভঙ্গ না করার সত্তেও বিগত ০২/০৮/২০১৬ ইংরেজি তারিখে স্কুল কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন ফেরদৌসী কর্তৃক বাদীগনকে দোকান ঘর গুলো অপসারনের চিঠির প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ-যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সিভিল মামলা নং- ৬৬৯/২০১৬ দায়ের করেন।
৫। মামলা চলাকালীন সময়ে বিগত ০৭/১০/২০২০ ইংরেজি তারিখে দিবাগত রাতে আকস্মিক অগ্নিকান্ডে বাদীগনের ০৫টি দোকান সম্পুর্ণ পুড়ে যায়। যাতে বাদীগনের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইতিমধ্যে স্কুল পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি, মুছা মাতব্বর, সহসভাপতি, মনিরুজ্জমান মহসি রানা, প্রধান শিক্ষক, পারভিন ফেরদৌসী, হেডম্যান প্রতিনিধি, মো. হারুন সহ স্কুল পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্যগনসহ বাদীগনের সহিত এক যৌথ জরুরী সভার অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাড়াটিয়াদের দোকানের স্থানে ১টি ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। প্রাথমিকভাবে ভবনের ২য় তলা পর্যন্ত তৈরির জন্য ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে মর্মে স্কুল কমিটি বাজেট প্রস্তাব করে। যার সম্পুর্ণ ব্যয়ভার ভাড়াটিয়াদের থেকে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে ভাড়াটিগনকে ১টি করে দোকান প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সেই মোতাবেক প্রত্যেক ভাড়াটিয়া থেকে জনপ্রতি ৫ লক্ষ টাকা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সেই মোতাবেক আমরা বাদীগন ১ম কিস্তি হিসাবে বিগত ২৫/১১/