রাউজানে দেনমোহরের টাকার চাপে পিতার আত্মহত্যা
আমির হামজা, রাউজান:: গত চার বছর আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওমান প্রবাসী মনির। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতে তাদের সংসারে শুরু হয় অশান্তি। আর বেশি দিন রঙিন করে রাখতে পারেনি তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।
পারিবারিক কহলের জের ধরে প্রবাস থেকে ডিভোর্স লেটার পাঠান স্বামী মনির। ভিভোর্স লেটার পাওয়ার পর স্বামীর সংসার ছেড়ে ঐ নারী শশুর বাড়ি ত্যাগ করে বাপের বাড়িতে চলে জান।
কিন্তু তাদের বিয়ের কাবিন ছিল ১২ লাখ টাকা, বিয়ের সময়ে উসুল হয় ৩লাখ টাকা। বাকী ৯ লাখ টাকার মধ্যে মেয়ের পরিবার দাবি করেন ৬ লাখ টাকা। কিন্তু ছেলের বাবা আত্মহনকারী দিতে চেয়েছিলেন ৪ লাখ টাকা।
কিন্তু মেয়ের পরিবার ৬লাখ টাকা দেওয়ার জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেন। এবং এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ছয় লাখ টাকা পরিশোধ না করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তালাক প্রাপ্তির তিন মাস পর বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া স্ত্রীর পরিবারের পক্ষে দেনমোহরের টাকা পরিশোধের চাপ দিয়ে আসছিল প্রবাসী মনিরের বাবা জাবের হোসেনকে।
এই নিয়ে সামাজিক ভাবে দুই পক্ষের একাধিক বার বৈঠক হয়। ছেলের বিবাহ বিচ্ছেদের কাবিনের টাকার চাপ সইতে না পেরে ৬০ বয়সী জাবের হোসেন আত্মহত্যা করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজেদের রান্নাঘরে ফাঁসীতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে আত্মহত্যার এমন ঘটনা ঘটেছে রাউজান উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাদু চৌধুরী বাড়িতে।
রাত ৯টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেন। তবে ঘটনার সময় তার পরিবারে কেউ বাসায় ছিল না। জাবের স্ত্রী অসুস্থ হওয়া তিনি হাসপাতালে ছিলেন। এদিকে এই সুযোগে মানসিক চাপে দিশেহারা হয়ে আত্মহত্যা করেন ওমান প্রবাসী মনিরের পিতা জাবের হোসেন তিনি ঐ এলাকার মৃত আবুল খায়ের সন্তান।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফোরকান মিয়া বলেন, তিনি জানান তার স্ত্রীর অসুস্থ হওয়া তিনি হাসপাতালে ছিলেন। এদিকে পারিবারিক মানসিক চাপে তিনি হয়তো আত্মহত্যা করতে পারেন বলে তিনি মনে করছেন।
রাউজান থানার ওসি তদন্ত পুলিশ পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেগ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।