খবরাখবর

হাটহাজারীতে কবর থেকে উত্তোলন করা হবে মেহেরুন্নেছার লাশ

সুমন পল্লব, হাটহাজারী: হাটহাজারীতে পুনঃ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হবে গৃহবধূ মেহেরুন্নেছার লাশ। ২৯ মে চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলাম হাটহাজারী মডেল থানাকে এ নির্দেশনা দেন।

নির্দেশনা পেয়েই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন বলে প্রতিবেদককে জানান অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান।

পুনঃ ময়না তদন্তের আবেদন সূত্র ও নিহতের ভাই মোঃ নাইমের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিহত মেহেরুন্নেছার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ।

ঘটনার জখমের বিষয়ে শরীরের হাত, পা, চোখ, পেট পিঠের বর্ণনার এক পর্যায়ে নিহতের লজ্জাস্থানে সিমেন্সের (বীর্য) উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু একইদিন চমেক ময়না তদন্তে ফাঁসির কারণে শ্বাসরোধে মৃত্য হয়েছে উল্লেখ থাকলেও সিমেন্সের উপস্থিতি নিয়ে কোন রিপোর্ট আসেনি।

নিহতের পরিবারের ধারনা টাকার বিনিময়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই লাশ উত্তোলন করে পুনঃ ময়না তদন্ত তথা সিমেন্সের নমুনা পরীক্ষা ও এ ঘটনায় নিহতের দেবর মোঃ সাইফুল ইসলাম ১ নং আসামীর সাথে বায়োজিক্যাল পরীক্ষা করলে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।

নিহতের ভাই সব্জি বিক্রেতা মোঃ নাইম বলেন, আমরা গরীব তাই বলে বোনের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানতে পারবনা তা হয়না। অনেক কস্টে আবেদনের মধ্য দিয়ে মাননীয় আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্দেশ প্রদান করেছেন বোনের লাশ উত্তোলন করে পুনঃ তদন্তের।

সত্যতা স্বীকার করে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদানে আবেদন করা হয়েছে। পেলেই যথাযথভাবে তা সম্পন্ন করা হবে।

প্রসঙ্গগত গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ডের হাজী কবির আহাম্মদের বাড়ি থেকে গৃহবধূ মেহেরুন্নেছা (২০)’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওই বাড়ির প্রবাসী ওয়াহিদুল আলম মঞ্জুর স্ত্রী ও বড়দিঘিরপাড় এলাকার লাল মিয়া মিস্ত্রির বাড়ির আব্দুল কাদেরের কন্যা। ঘটনার পর পরই নিহতের পরিবার তার দেবর, এক ননদ ও শাশুড়িকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছিলেন। বর্তমানে সকলে জামিনে আছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে জানতে চাইলে মামলার ১ নং আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফার্মেসীতে প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার পর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আদালত যা নির্দেশনা দেয় তা করা হোক এতে তাদের কোন আপত্তি নাই। তারা নির্দোষ। এ

সময় ঘটনার পর প্রতিবেদকের নিউজে যৌতুকের জন্য মানসিক নির্যাতন, আত্মহত্যার প্ররোচণা এসব বানোয়াট ও মিথ্যা ছিল। উল্টো নিহতের পরকিয়া ছিল বলে জানান প্রতিবেদককে।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button