Uncategorized

সিরাজগঞ্জে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা শোনালেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

সিরাজগঞ্জে নতুনপ্রজন্ম স্কুলশিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে যুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা শোনালেন বীরমুক্তিযোদ্ধারা

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে নতুনপ্রজন্ম স্কুলশিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫’শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা শোনালেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

এ অনুষ্ঠানে, সিরাজগঞ্জ শহরের বনোয়ারি লাল উচ্চ বিদ্যালয় (বিএল স্কুল), সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল, হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ , সবুজ কানান স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী ১০জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।

সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০টা হতে দুপুর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহরের শহিদ এম.মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্প জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ( উপসচিব) ড. মোহাম্মদ নূরুল আমিন।

এসময়ে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা শোনালেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধকালীন ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ ইসহাক আলী, আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট কে.এম.হোসেন আলী হাসান, অ্যাড. বীরমুক্তিযোদ্ধা বিমল কুমার দাস, বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী ফজলুল মতিন মুক্তা প্রমুখ।

এসময়ে অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম.রকিবুল হাসান, সহকারী কমিশনার প্রতীতি পিয়া সহনঅন্যান্য কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ফারজানা রহমান তন্বী।

এ সময়ে অনুষ্ঠানে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে শ্রেষ্ঠতম অর্জন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন বীর বাঙালিরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ্য করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয় মোদের বাংলাদেশ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস ভাবেকাজ করছেন। তিনিই মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা করে দিচ্ছেন।

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর, যুদ্ধের স্থান চিহ্নিতকরণ, সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পাঠ্যপুস্তক সহ বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা বই সংরক্ষিত করা এবং পড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার ও লাইব্রেরি করছেন।

আন্তরিক প্রচেষ্টাতে অনেক প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য হৃদয়ে লালন করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই প্রজন্মের সবাইকে আহ্বান জানান।

Please follow and like us:
Back to top button