খবরাখবর

ফটিকছড়িতে আবারো লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

মো: রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে লোকালয় থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির আরো ১টি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার দিনগত রাতে উপজেলার দাঁতমারা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন নাছির নার্সারি থেকে বানরটি উদ্ধার করে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বানরটি উদ্ধারের পর বন বিভাগের সহায়তায় হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হয়। অবমুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণহাট রেঞ্জ কর্মকর্তা ইলিছুর রহমান।

লজ্জাবতী বানর উদ্ধারের বিষয়ে দাঁতমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজের হোসাইন বলেন, ‘পুলিশ ফাঁড়ির সংলগ্ন নাছির নার্সারি নামক স্থানে বিলুপ্ত প্রজাতির লজ্জাবতী বানরটি একটি জালে আটকে ছিল।

স্থানীয়রা বিষয়টি জানালে নারায়ণহাট রেঞ্জ কর্মকর্তার সহায়তায় বানরটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করলে তারা রাতেই হাজারীখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে প্রাণীটিকে অবমুক্ত করে।

ফটিকছড়ির সেলফি সড়কে রাবার গাছের সাথে ধাক্কায় মোটারসাইকেল আরোহী নিহত

উল্লেখ্য, গত ৭ জুন ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় পথ হারিয়ে উপজেলার কাঞ্চননগরের লোকালয় চলে আসে অপর একটি বিলুপ্ত প্রজাতির লজ্জাবতী বানর। স্থানীয়রা বিপন্ন প্রাণীটিকে ধরে খাঁচায় বন্দি করে রাখে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে প্রাণীটি উদ্ধার করে। ইউএনও’র নির্দেশনায় সেদিন রাতেই হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

এছাড়া বিভিন্ন সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরো বেশ কয়েকটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে,লজ্জাবতী বানর একটি নিশাচর প্রাণী। এরা দিনে গাছ লুকিয়ে থাকে এবং হাত ও পা দিয়ে চাপ দিয়ে মুখ ঢেকে বলের মতো গোল হয়ে থাকে, যাতে আলো না লাগে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও লাউস পর্যন্ত এদের বিচরণ।লজ্জাবতী বানরের ইংরেজি নাম বেঙ্গল স্লো লরিস। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি বনে বানরটিকে দেখা যায়।

প্রকৃতি ও প্রাণী সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইইউসিএন লজ্জাবতী বানরকে সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনের তফসিল-১ অনুসারে সংরক্ষিত প্রাণী লজ্জাবতী বানর।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button