পাঙ্গাসী লায়লা-মিজান স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযেগিতা অনুষ্ঠিত
আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের পাঙ্গাসী লায়লা মিজান স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি)র আয়োজনে এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় আশা প্রজেক্টের আওতায়-
মঙ্গলবার (২৫ জুন ২০২৪) সকাল ১১ টায় পাঙ্গাসাী লায়লা মিজান স্কুল এ্যান্ড কলেজর এর বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিতর্কের বিষয় ছিল “অশিক্ষায় বাল্য বিয়ের প্রধান কারন”। উল্ল্যেখিত বিতর্কে বিদ্যালয়ের ৮ ম ৯ম শ্রেণির ৬ জন মেয়ে এবং ৪ জন ছেলে অংশগ্রহন করেন।
প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি এবং প্রধান বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ মোঃ রেজাউল করিম। বিচারক হিসেবে আরো ছিলেন চকনুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিল্পী পারভীন ও পাঙ্গাসী লায়লা মিজান স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর সহকারী শিক্ষক মোঃ নুরুল আমিন খান।
প্রতিযোগিতায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন, পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ কমিটির সভাপতি এবং পাঙ্গাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন সরকার। প্রতিযোগিদের আলোচনার সময় সম্পর্কে শুরু এবং সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সংকেত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন পাঙ্গাসী লায়লা মিজান স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার সেন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতাটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, উপব্যবস্থাপক, প্রতিবন্ধিতা ও শিক্ষা কর্মসূচি, এনডিপি শিপন চন্দ্র নাগ। প্রতিযোগিতার বিষয়ের পক্ষে যুক্তি খন্ডন করেন মোছাঃ মীম আক্তার, মীর তাওহিদা খাতুন, উম্মে হাবিবা, তাছফিয়া খান সিফা, সানিয়া তাজিন উর্মি (দলনেতা), বিপক্ষে যুক্তি খন্ডন করেন, মোঃ জিহাদ সরকার, অর্পন কুমার ভাদুরী, সাদিয়া খাতুন, আবু দারদা সেখ এবং মৃদুল কান্তি সেন (দলনেতা)।
উক্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উভয় দল খুবেই যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তাদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার জোর দাবি করেন এবং তারা তাদের বক্ত্যবে উপস্থাপন করেন। তাদের উপস্থাপনায় উপস্থিত অতিথি বৃন্দ,বিচারক গণ সহ উপস্থিত শ্রোতা ও অভিভাবক আনন্দে উল্লাসিত হয়ে পড়ে।
পরিশেষে বিচারকগণ তাদের দেওয়া প্রাপ্ত নম্বর একত্রে করে “অশিক্ষায় বাল্য বিয়ের প্রধান কারন” এই বিষয়ের পক্ষে যে দল যুক্তি উপস্থাপন করেছে সেই দলকে বিজয়ী এবং শ্রেষ্ট বক্তা হিসেবে পক্ষের দলের সদস্য তাসফিয়া খান সিফার নাম বিচারকদের পক্ষে প্রধান বিচারক মোঃ রেজাউল করিম ঘোষনা করেন।
এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী গণ সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং তারা বলেন এই ধরনের কার্যক্রম মাঝে মাঝে আযোজন করা হলে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সৃজনশীলতায় দিকে তাদের চিন্তা শক্তি অনেক উন্নয়ন হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি বৃন্দ এই ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য এনডিপি ও গণসাক্ষরতা অভিযানকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক/শিক্ষিকা, অভিভাবক, সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ।
উপস্থিত সকলে এবং সভার সভাপতি এনডিপির সকল কার্যক্রম সহ আশা প্রজেক্টের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রজেক্টের সফলতা কামনা করেন।