ফটিকছড়িতে আওয়ামীলীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক দুই মেয়রসহ আওয়ামীলীগের ৩৫ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০ আগষ্ট চট্টগ্রাম জুড়িশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে মেহেদী হাসান নামের এক যুবক এ মামলা করেন।
মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যন ও ফটিকছড়ি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী,ফটিকছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন,নাজিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী,সমিতিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ইমন, সুয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন,সাধারন সম্পাদক রায়হান রুপু,মাঈনুল আলম সাকি,মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল আলম,কাউন্সিলর গোলাফ মওলাসহ ৩৫ জনকে সুনির্দিষ্ট আসামী করে, ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়,গত ২০ জুলাই চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের নাজিরহাট রাস্তার মাথায় আসামীগণ রাষ্ট্রের সম্পত্তি ও জানমালের ক্ষতি করা স্বার্থে হাতে বিভিন্ন লাঠি সংযুক্ত ব্যানার, দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, বিস্ফোরক ককটেল সামগ্রী নিয়ে জামাত বিএনপি সহ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বিশ্রী স্লোগান দিতে থাকে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করাসহ জ্বালাও পোড়াও পরিবেশ সৃষ্টি করতঃ জনমনে আতংক ও সন্ত্রাসী নৈরাজ্য পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে নাজিরহাট মেডিকেল এর সামনে ককটেল বিস্ফোরন করে ধ্বংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য জ্বালাও পোড়াও স্লোগান দেয়।
এ সময় বাদীর পথরোধ করে বিএনপি জামাতের দালাল বলিয়া গালমন্দ করিয়া
হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার চেষ্টা করে। বাদী পালিয়ে জানে বাঁচে।
মামলার বাদী মেহদী হাসান নাজিরহাট পৌরসভার পূর্ব ফরহাদাবদ গ্রামের নুর কাজী বাড়ির কাজী আবু জাপরের পুত্র।
মামলার আইনজীবী এডভোকেট আয়াতুন নবী আয়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছে। ফটিকছড়ি থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।