জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহিলা মাহফিল সম্পন্ন
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’ নিয়ন্ত্রণাধীন মহিলাদের আত্মজিজ্ঞাসা ও জ্ঞানানুশীলনমূলক সংগঠন ‘আলোর পথে’র ব্যবস্থাপনায় ৩১শে আগস্ট ‘পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন’ শীর্ষক আগস্ট মাসের মাহফিল নগরের নতুন চান্দগাঁও থানার উত্তর পাশে রূপালী আবাসিক গেইট সংলগ্ন ‘ডিউ উদয়ন’ ভবনস্থ ট্রাস্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ‘আলোর পথে’র সিনিয়র সদস্য উম্মে আল আসফিয়া’র তত্ত্বাবধানে এবং আকলিমা ফাতেমা ও আলিশা আকতারে’র সঞ্চালনায় মাহফিল শুরু হয়।
মাহফিলে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সিদরাতুল মুনতাহা, নাতে রাসূল (দ.) পরিবেশন করেন নুসরাত ফাতেমা, মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশন করেন উম্মে সায়মা সাদিয়া এবং ‘ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্বলিত সফর মাস’ শীর্ষক তথ্যকণিকা উপস্থাপন করেন তাসমিয়া তাবাস্সুম।
নির্ধারিত বিষয়ে আলোচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পোর্ট কলোনী জামে মসজিদের খতিব ড. মুফতি মুহাম্মদ নুর হোসাইন বলেন- ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন হলো আল্লাহ্ প্রদত্ত নেয়ামতের শোকরিয়া আদায়।
রাসুলুল্লাহ্ (দ.) আমাদেরকে ঈমান শিখিয়েছেন, আল্লাহ’র পরিচয় দিয়েছেন। তাই একজন ঈমানদারের কাছে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যেহেতু এই মহান নেয়ামত আমাদেরকে দান করেছেন সেহেতু বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এই নেয়ামতের শোকরিয়া আদায় করা আমাদের কর্তব্য। এটাকে নাজায়েয বলার কোন অবকাশ নেই।
রাসুল (দ.) নিজের বিলাদত উপলক্ষে রোজা রাখার মাধ্যমে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপনের ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। সেই সূত্র ধরে মুসলিম সমাজ প্রতি বছর আনন্দের সাথে শরীয়ত মোতাবেক ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন করে যাচ্ছে। সুতরাং আমাদের উচিত এটিকে বিদআত হিসেবে আখ্যায়িত না করে যথাযথভাবে উদযাপন করার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে সঠিক দিক-নির্দেশনমূলক জীবন তৈরী করা।