রাউজানে শুভ প্রবারনা পূর্নিমা উদযাপন পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়
রাউজানে বৌদ্ধ বিহার গুলোতে অনুদান ও প্রবারনা শুভেচ্ছা বিনিময়।
রাউজান: রাউজান উপজেলা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু বিধান বড়ুয়া বলেছেন, প্রবারণা অর্থ আত্মসমর্পণ ও আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠান।
এটি ভিক্ষুসংঘের বিনয়-কর্মের নাম। বুদ্ধের সময় শত শত ভিক্ষু একই স্থানে অবস্থান করে ধর্ম ও বিনয় শিক্ষা করতেন। কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন কালে তিনি একথা বলেন।
সম্প্রতি রাউজান উপজেলা প্রশাসন এর সাথে প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা বিনিময়, অনুদানের চেক হস্তান্তর সহ মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎস উপলক্ষে রাউজানের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার গুলো পরিদর্শন করেন বাবু বিধান বড়ুয়া সহ উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
বাবু বিধান বড়ুয়া আরো বলেন, ধর্মীয় নীতিরীতি মেনে চলার মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। মহামতি গৌতম বৌদ্ধের দীর্ঘময় জীবন থেকে আমরা সেই শিক্ষাই গ্রহন করেছি।
এসময় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, রাউজান উপজেলা প্রকল্প পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ, রাউজান থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মীর মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা বৌদ্ধ বিহার শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি উজ্জ্বল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক এ্যানি বড়ুয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক কানন কুসুম বড়ুয়া, সদস্য মোহন বড়ুয়া, এছাড়া আরো পূজস্পদ মহান ভিক্ষুসংঘ ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন।
এ উপলক্ষে বৌদ্ধ বিহার গুলোতে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, প্রভাতফেরি, মঙ্গলসূত্র পাঠ, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টাঙ্গ উপসথশীল গ্রহণ, মহাসংঘদান, ভিক্ষুসংঘকে পিণ্ডদান, অতিথি আপ্যায়ন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনাসভা, প্রদীপপূজা, বিশ্বশান্তি কামনায় সম্মিলিত বুদ্ধোপাসনা, বুদ্ধকীর্তন, আলোকসজ্জা ও ফানুস উত্তোলন করা হয়।