খবরাখবর

ফটিকছড়ির মাঘের মেলা যেন মুলার মেলা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: মূলা আর মূলা, মাঘের মেলা মূলায় পরিণত। রাস্তাজুড়ে প্রচুর মূলা।

ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের মাঘের মেলায় জমে উঠেছে জাপানি মূলা বিক্রি। যা ভাণ্ডারী মূলা নামে খ্যাত।

নাজিরহাট থেকে শুরু করে মাইজভান্ডার শরীফ মেলা পর্যন্ত মূলা বিক্রি চোখে পড়ার মত। একেকটি মূলা দুই-তিন হাত পর্যন্ত লম্বা ও ১০/১৫ কেজি ওজনের পর্যন্ত হয়। প্রতি পিচ মুলা ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অনেকে মূলা ক্রয় করে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক দুই হাত ভরে মূলা নিয়ে যাচ্ছেন।

মাইজভান্ডার শরীফ এলাকার মুলা সবজি হিসেবে এবং হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর (ক.) দরবারে মাংস মুলা তবরুকের বিশেষ প্রচলন থাকায় নিয়ত করে এই মূলা নিয়ে যায় আশেক ভক্তরা। সরেজমিনে দেখা যায় যারা মেলায় এসেছেন প্রায় জন মুলা হাতে কাঁধে করে মুলা নিয়ে যাচ্ছেন।

প্রতিবছরের মতো এ বছরও মাঘের মেলায় এসেছে প্রচুর জাপনী মুলা।
আর এ মুলা মেলার অন্যতম আর্কষণে পরিনত হল।

হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) বার্ষিক ওরশ শরীফকে কেন্দ্র করে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার এলাকাজুড়ে বসেছে সাপ্তাহব্যাপী গ্রামীণ বা লোকজ পণ্যের মেলা। যা মাঘের মেলা হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় ও আশেপাশের এলাকা থেকে চাষীরা তাদের উৎপাদিত বড় বড় আকারের মূলা (স্থানীয় ভাষায় জাপানি মূলা বা ভাণ্ডারী মুলা) মেলায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসে। কারন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আশেক ভক্তদের মাঝে এ অঞ্চলের মুলার আলাদা কদর রয়েছে, বিক্রিও হয় ভালো। ফলে
এ মুলার খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশজুড়ে।

এ বছরও বার্ষিক ওরশ শরীফকে কেন্দ্র করে ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডা এলাকায় বসেছে সাপ্তাহব্যাপী গ্রামীণ বা লোকজ পণ্যের মেলা। এবারের মেলায়ও অন্যতম আর্কষণ হলো মুলা।

মূলা ক্রয়কারী মোহাম্মদ এয়াকুব বলেন, প্রতি বছর ওরশ শরীফে আসলে মুলা নিয়ে যাই। মুলাগুলো খেতে অনেক ভালো। স্বজনরা বলে দেয় মূলা নিয়ে যাওয়ার জন্য।

অপর এক মূলা ক্রয়কারী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মাইজভাণ্ডার শরীফের মূলা হিসেবে প্রতি বছরই ওরশ শরীফে আসলে নিয়ে যাই এবং এ মুলা নিয়ত করে আমরা খাই। আত্বীয়স্বজনদের মাঝে বিলি করি।

বিক্রেতা মোহাম্মদ আজিজ বলেন, আমরা সারা বছরই আশা থাকি ১০ মাঘের মেলার জন্য। কারন মেলায় মুলা ভাল বিক্রী হয়। এ বছর গতববারের তুলনায় দ্বিগুণ মূলা নিয়ে এসেছি।

বড় বড় আকৃতির এসব মূলার বেশ কদর রয়েছে দেশের ওরশ শরীফে আসা আশেক ভক্তের কাছে।

কৃষকরাও ১০ মাঘের ওরশ শরীফে উৎপাদিত মুলা বিক্রির জন্য আশায় থাকে। ১০ মাঘের ওরশকে সামনে রেখে অধাকাংশ কৃষক এই মুলার চাষাবাদ করে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, চরের মাটি খুবই উর্বর এবং উৎপাদিত ফসল অত্যন্ত পুষ্টিকর। চলতি বছর ভাণ্ডারী মূলার ভাল ফলন হয়েছে।

এ লোকজ মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা মেলায় ব্যবসা করতে আসে। রকমারী খাবার, বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে। মেলায় পোশাক, খেলনা, প্রসাধনী সামগ্রীসহ গৃহস্থের প্রয়োজনীয় বাঁশ বেত, মাটির, লোহার তৈরি জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তাই এলাকার বউ-ঝিয়েরাও এই মেলার অপেক্ষায় থাকে ঘরের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য।

এ লোকজ মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা মেলায় ব্যবসা করতে আসে। রকমারী খাবার, বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে। মেলায় পোষাক, খেলনা, প্রসাধনী সামগ্রীসহ গৃহস্থের প্রয়োজনীয় বাঁশ বেত, মাটির, লোহার তৈরী জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তাই এলাকার বউ ঝিয়েরাও এই মেলার অপেক্ষায় থাকে ঘরের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button