হৃদয়
মারিয়াফ রাখী:: প্রকৃতির বুকে এক খন্ড মাংস পিন্ডের ভেতরে ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়ে আছে ‘হৃদয়’ যাকে কেউ কোনোদিন বুঝতে চায়নি
হাত বদলের পন্য হয়ে এ হাট থেকে ও হাট
বন্দর থেকে ঘাট, সমতল থেকে পাহাড়
আকাশ থেকে মাটি, আলো থেকে অন্ধকার
অদম্য এক ঘূর্ণিপাকে ঘুরেছে শুধু, খন্ড বিখন্ড হয়েছে তার বিশ্বাস!
তবু কারও এতটুকু বুক কেঁপে ওঠেনি , হয়নি অনুতাপ, বাজেনি বিবেক নামের ঘন্টা!
চিৎকার করে বলতে চেয়েছে সে বার বার….
‘আমি আমার ভাবনার জগতে নিজের মতো একটু বাঁচতে চাই!’
প্রাণভরে আপনত্ব বিশ্বাসের শীতল নিঃশ্বাস নিতে চাই…
বিশেষ কোনো কর্ণগোচর হয়নি সে আত্মচিৎকার!
স্বার্থপরতার অদম্য আয়োজনে অট্টহাসির পাত্র হয়েছে কেবল।
হৃদয় জুড়ে ক্ষমার সুরে বেজেছে যে ধ্বনি..
দূর্বলতা, অপারগতা, অযোগ্যতার তকমা এঁটে নিলামে তুলেছিল তাকে!
তাচ্ছিল্য ও পরিহাসে জর্জরিত হয়েছে সে প্রেম!
বাতাসে এখন বিশ্বাসঘাতকতার আগুনে ঝলসানো পোড়া গন্ধ।
ক্ষণে ক্ষণে সেখানে আজ নিঃশ্বাস চেপে ধরে, দম বন্ধ হওয়া অনুভূতি, বিভীষিকাময় রাতকে ভোর করে তোলে …
এখানে শরীর নামক মাংস পিন্ডের ঠিকানায়
হৃদয় ভরা ভালোবাসারা বাস করে না আর।
সেখানে এখন অপমানের আগুনে পুড়ে ঝলসে যাওয়া জ্বলন্ত লাভার বাস !
যাকে কোনোদিন কেউ ছুঁতে পারেনি অথবা ছুঁতে চায়নি, হয়তো ইচ্ছে করেই ছুঁতে চায়নি!
পাছে মরা ডাল ভাঙার শব্দে অনাগত
পথ চলায় আবার না কোনো ছন্দপতন হয় !
শরীর নামক মাংসপিণ্ডেই আটকে ছিল হৃদয়!
আজ কাকে খুঁজছো তুমি…!
কোন ঠিকানায় করছো তোমার এই আকুতি?
কোথায় ছিলো এতো অনুভূতি!
যে হৃদয় ভালোবাসা, মায়া ও ক্ষমায় পরিপূর্ণ ছিল
সে ঠিকানায় এখন বাস করে জলন্ত এক ‘আগ্নেয়গিরি’ !