বারিপাত | উম্মে হাবিবা চৌধুরী
উম্মে হাবিবা চৌধুরী::
গুরুম গুরুম মেঘ ডাকা
বিদুৎ চমকা বিজলী
রক্তিম রাগিনী
ঝরো ঝরো বাদল ধারা
মেঘজল সিক্ত তরু বিথীকা
মঞ্জুরী মাধুরী
সুরভিত মাধবিলতা,
উতলা হাওয়া
চিরন্তনী দোলা
পুলকিত মন
শিহরণ জাগা,
ঝুম ঝুম বৃষ্টি
এসেছো উদ্দোম বেগে
পারিযায়ী কেশর দুলিয়ে,
ছল্ ছল্ কল্ কল্
দুকূল চাপা
জোয়ার ভাটা
বান ভাসা বাস্তুহারা
মনে মনে কতো স্বপ্ন আঁকা
আজি তব সকলি ফাঁকা,
দিনান্তের জীবিকা
বেঁচে থাকা রহিম মিয়া
জলে ডুবা
পথ ঘাট
হলোনা তার
রুজির সন্ধানে
ঘরের বাহিরে যাওয়া।
বস্তিতে থাকা মনোয়ারা
ঘরে যার
হাঁটু থক পানি
জ্বলেনা আগুন
উনুনে চড়ে না
তার হাঁড়ি।
তারপরও
প্রকৃতির নিয়মে
বিধির খেয়ালে
স্বপ্নবাজ মানুষগুলো
পথ চলে।
বর্ষণমুখর মেঘাচ্ছন্ন
ঝিরিঝিরি বায়
ছোঁয়া দিয়ে যায়,
জুঁই চাঁপা কদম্ভ পারুল
টগর বকুল চামেলি
হয়েছে আকুলি
পড়েছে ঝরে পথ পরে।
সরস হরষ চপল
সজল বর্ষা
মেঘ দম্ভল অম্বরি,
কতো শতো কথা
কতো স্মৃতি
সংগোপনে রহিলো
যাহা হৃদয় মর্মে
মনে জাগে আজি
বৃষ্টি ঝরা এ মেঘলা দিনে।
অন্তহীন পথে
কালের স্রোতে
সময় যায় বয়ে
সুন্দরতম দিগন্তবিহীন
মহাকালের ছায়া
মমপ্রাণে
অন্তহীন চেতনায়
পরশ জাগায়
এ বাদল হাওয়ায়।