রাউজানে বন্যায় সড়ক ভেঙ্গে ১শত আট কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
আমির হামজা, রাউজান:: চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ বন্যায় ও পাহাড়ী ঢলে উপজেলার প্রায় সড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ী ঢল আর বন্যার পানির প্রবল স্রোতে এই উপজেলায় অনেক সড়ক ভেঙ্গে গিয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭০টি বেশি সড়ক বন্যায় বিধস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাট থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় সাথে সাথে ক্ষত চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢল ও জোয়ারের পানিতে সৃষ্ট বন্যার পানির তীব্র ¯্রােত রাস্তাঘাটের উপর দিয়ে গড়িয়ে যাওয়ায় বহু রাস্তা ধসে ছিন্নভিন্ন হয়েছে। বেশ কয়েকটি ছোট ব্রিজ ও কালবাট বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর সভার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব অনুসারে এখানে প্রায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এক শত আট কোটি টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন সমূহ হচ্ছে নোয়াপাড়া, উরকিরচর, রাউজান সদর ইউনয়ন, পশ্চিম গুজরা, পূর্বগুজরা ও পাহাড়তলী ইউনিয়নে।
নোয়াপাড়ার ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা বর্ষণ ও হালদার জোয়ারের পানিতে বহুরাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানির তীব্র ¯্রােতে ভেসে সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এদিকে বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার ও পুননির্মান করে চলাচলের উপযোগি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ১৪টি ইউনিয়নে বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে ৭০টি সড়ক ক্ষতি হয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। পৌর এলাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবারের বন্যায় সড়ক ভেঙ্গে প্রায় ১শত ৮ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমরা প্রতিটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, রাস্তা ও কালভার্টের তালিকা প্রদানের জন্য তাদের নিদের্শনা দিয়েছি।
রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, রাউজান পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছি। দ্রুত কাজ গুলো শেষ করে মানুষের চলাচলের উপযোগি করা হবে।