শরৎ কুঞ্জে মূরালি বাজে
উম্মে হাবিবা চৌধুরী::
সূর্য্যি জাগে রক্তিম রাগে
নীলিমায় আকাশ ছোঁয়া প্রান্তে
ভাদ্র মাসে তপ্ত দহনে
হঠাৎ গগনে
খন্ডিত মেঘে
জলপবনের ধারা
আলো আঁধারে
নেমে এলো ঝুম বৃষ্টি
গুরুগম্ভীর অম্বরধ্বনি।
বৃষ্টি গেলো থেমে
প্রকৃতি জাগে সজল প্রাণে
বনান্তে তরুবীথিকা
সবুজ পাতার মর্মরে
মেঘমন্দ্রিত রৌদ্রছায়া
সূর্যের লুকোচুরি মায়া
মৌন মূর্তিমান এক কায়া।
কচুপাতা মাধবীলতা
সরষে ফুলে বৃষ্টির ফোঁটা
যেন প্রস্ফুটিত মুক্তো দানা।
টইটুম্বুর পুকুর জল
শাপলা পাতায়
ঢেউ দোল দিয়ে যায়
পূরবী চঞ্চল বায়।
ঝিরিঝিরি বাতাসে
ঝরা পাতা
সহজিয়া অনুরাগে
বিছায়েছে হলুদ গালিচা স্নিগ্ধ আভা।
আশ্বিনের ক্ষীণ ক্ষীণ জলধর
কুয়াশা ঝরা রাতে
শিশির ভেজা ঘাসে
প্রত্যুষে স্পুলিঙ্গ ভৈরবী হাসে
শীতল হাওয়া অনুভবে।
সাগর পানে স্রোতের টানে
বয়ে চলা নদীর মোহনা
রবি ছড়ায়েছে হেথা
আলো ঝিলমিল রোদের কণা।
বর্ণচ্ছড়া রঙের ভেলা
সাদা মেঘ যায় ভেসে ভেসে
গগনে গগনে।
কাশফুল শুভ্রতায়
নৃত্যের ছন্দলয়ে
দুলছে বনে বনে,
শরৎ কুঞ্জে মৃদুঙ্গ সুরে
মুরালি বাজে।
সুন্দরতম অনুসন্ধিত
গহীন অতল দ্বার
পিয়াসী মন
অনুভূতি ক্ষণ ক্ষণ
অন্তহীন দূর এ
অসীম নীলিমা
অনিমেষ মোদীর পরশ
হৃদয় ছন্দিত মাধুর্যময়ী
আবেশ।