মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরামের কর্মশালায় সুশীল সমাজ ও যুবদের আহবান
রাজনৈতিক সম্প্রীতিপূর্ণ চট্টগ্রাম বিনির্মাণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরামের কর্মশালায় সুশীল সমাজ ও যুবদের আহবান
বিজ্ঞপ্তি:: আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির চারণভূমি চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে ক্রমবর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শান্তি পূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বদা রাজনৈতিক সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা অনুশীলন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়াসে মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম, চট্টগ্রাম এর আয়োজনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং যুব গোষ্ঠীর অংশগ্রহনে “রাজনৈতিক সম্প্রীতি” শীর্ষক কর্মশালা ১১ অক্টোবর, ২০২৩ বুধবার চট্টগ্রাম শহরের কপার চিমনী রেস্টুরেন্ট অনুষ্টিত হয়।
ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এই আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতা করেন। মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম-এমএএফ একটি বহুদলীয় স্বেচ্ছাসেবী রাজনৈতিক ফোরাম যা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তরুণ নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত।
ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল বাস্তবায়িত ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় দলগুলোর পলেটিক্যাল ফেলো ও মাস্টার ট্রেইনারদের সমন্বয়ে এমএএফ চট্টগ্রাম ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মশালায় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে যেসব দ্বন্দ্ব আছে যাতে তা নিরসনের চেষ্টা করে, সকল দলের নেতাকর্মীদের নিজ দল এবং অন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বক্তব্য প্রদান করে। সব সময় এক দল অন্য দল সম্পর্কে গঠনমূলক সমালোচনা করে, সভা বা সমাবেশে উসকানিমূলক ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকে, দলগুলোর সভা বা সমাবেশ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিজ দল অন্যদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য থেকে বিরত থেকে যাতে রাজনৈতিক চর্চা ও সম্প্রীতি যাতে রক্ষা করেন সে বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও যুব প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী সনাতন চক্রবর্তী বিজয়। এই কর্মশালার উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রামের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার মোঃ সদরুল আমিন।
মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের কার্যক্রম তোলে ধরেন মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
কর্মশালার মূল কার্যক্রম পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রামের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান। কর্মশালায় অংশ গ্রহনকারীরা পাচঁটি দলে বিভক্ত হয়ে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনির্মাণে ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি জোরদার করতে রাজনৈতিক দল গুলি কি কি উদ্যোগ নিতে পারেন।
রাজনৈতিক সম্প্রীতি জোরদার করতে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম কি কি উদ্যোগ নিতে পারে, রাজনৈতিক সম্প্রীতি জোরদার করতে নাগরিক সমাজ কি ভুমিকা রাখতে পারে, সম্প্রীতি জোরদার করতে গণমাধ্যম / সাংবাদিকগণ কি ভূমিকা রাখতে পারে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দলগত অবস্থান কর্মশালায় তোলে ধরেন।
এরপর কর্মশালায় চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার প্রয়াসে প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য গনস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। এবং পরবর্তীতে আরো বেশী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাজনৈতিক সম্প্রীতি রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক দল গুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট দাবী আকারে প্রধান করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সংলাপের সমাপনী পর্বে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও সংগঠক জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাংবাদিক অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, সংশপ্তকের প্রধান নির্বাহী লিটন চৌধুরী, ক্যাব চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার সাবেরী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সংগঠক কবি শারুদ নিজাম, বিশিষ্ট নারী সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ।
এ নাগরিক কর্মশালায় মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরামের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যুব রেডক্রিসেন্ট, বিএনসিসি, লিও, যুব স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন।
এই কর্মশালা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রামের ইলেকটোরাল প্রোগ্রাম এসোসিয়েট তামান্না আহমেদ বহ্নি ও অপারেশন এসিসট্যান্ট আবুল হাসান চৌধুরী রণি।
কর্মশালার সমাপনী বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী সনাতন চক্রবর্তী বিজয়।