প্যালেস্টাইন | উম্মে হাবিবা চৌধুরী
উম্মে হাবিবা চৌধুরী::
শাব্দিক গাঁথুনি
শব্দ চয়নে
ভাষা ছন্দে
মিলছেনা কবিতা লিখা,
মনের ভিতর তোলপাড় অস্থিরতা
কিভাবে হয় কবিতা,
শতাব্দীর নিকৃষ্টতম বিভৎস চিত্র
দুঃসহ যন্ত্রণাময় নির্মমতা,
যুগের পর যুগ
চলছে অবিরাম
রুদ্রমাতম,
কাঁদছে বিশ্ব
কাঁদছে প্যালেস্টাইন।
যখন দেখি
টেলিভিশনের পর্দায়
প্রত্রিকার পাতায়
প্রযুক্তির বদৌলতে
ফেসবুক অনলাইনে
মায়ের বুক থেকে
কেড়ে নিয়ে সন্তানকে
করছে হত্যা,
রক্তাক্ত অবুঝ শিশুর
দুহাত তুলে বাঁচার আকুতি,
বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ,
বোমার আঘাতে
প্রসূতি মায়ের করুণ মৃত্যু,
আবাল বৃদ্ধ বনিতা
কেউ হচ্ছে আজীবনের পঙ্গু,
স্বজন হারিয়ে কেউবা হচ্ছে একা,
সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী
কারোই নেই রেহাই
করা হচ্ছে গুম নির্যাতন।
ধূ ধূ আচ্ছন্ন অন্ধকার
রাক্ষুসি মরা শুকুনের হাড়
বসেছে চাপিয়ে
প্যালেস্টাইনবাসীর কাঁধের উপর,
আগ্রাসী ইসরায়লীরা
মারছে বোমা
হানছে আঘাত,
কামান বুলেট
দাবানলের লেলিহান শিখা
জ্বলছে গাজা উপত্যকা
পুড়ছে ভূখন্ড ফিলিস্তিন
করছে ভূমি দখল
হায়েনার দল।
ফিলিস্তিন অধিবাসীরা
হচ্ছে নিঃস্ব প্রতিনিয়ত,
নিদারুণ ত্রাসে
করছে বরণ
করুণ অসহায়ত্ব,
অনিশ্চিত জীবনের
করাল গ্রাসে আবদ্ধ।
পৈশাচিক বর্বরতা
চরম পাশবিকতা
মানবতা লঙ্ঘিত কুলষিত,
পানি নাই বিদ্যুৎ নাই
খাবার নাই
নাই মাথা গোঁজার ঠাঁই
শিক্ষার পরিবেশ বন্ধ
চিকিৎসার সকল দ্বার রুদ্ধ,
বাড়িঘর বিদ্যালয়
হাসপাতাল মসজিদ
শকুনের দল
সব ধ্বংসের নেশায়
উল্লাসে উদ্যত,
বিশ্বজনতা স্তম্ভিত ক্রুদ্ধ
বিশ্ব মোড়লের বিবেক আজ অন্ধ,
কতো শহীদের আর ঝরাবে রক্ত
রক্তপিপাসু দানব শক্তি
ইসরায়লি জায়নবাদী।
মজলুমের আর্তনাদে
মন হয় বেদনার্ত
বিবেক দেয় নাড়া
চোখে নাই ঘুম,
নিজ সত্তার কাছে
নিজেই প্রশ্নের সম্মুখীন,
এ কেমন হাহাকার
কলম কালি
শব্দ কবিতা
সব একাকার।