ফিলিস্তিনকে ইসরায়েলি দখলদারি মুক্ত করণে ও.আই.সি-আরবলীগ-জাতিসংঘসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের বলিষ্ঠ ভূমিকা চাই- পীর সাহেব মশুরীখোলা দরবার শরীফ
বিজ্ঞপ্তি:: ত্রয়োদশ শতাব্দির মহান মুজাদ্দিদ, হজরত ক্বেবলা শাহ্ আহসানুল্লাহ রহ.’র ৯৮ তম ঈসালে সাওয়াব মাহফিল হযরত শাহ আহসানুল্লাহ র. কমপ্লেক্স আওতাধীন হাফিজিয়া মাদ্রাসার দস্তারবন্দী বাদে মাগরিব থেকে সারারাত ব্যাপী গদিনসীন ও সাজ্জাদানিসীন শাহ্ সূফি মাওলানা শাহ্ মোহাম্মাদ আহছানুজ্জামান মা.জি.আ.’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়। তন্মধ্যে, খতমে কুরআন, খতমে খাজেগান, হামদে বারী তা’লা, নাতে রাসূল দ., জিকিরুল্লাহ, ধর্মীয় আলোচনা, হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও হজরত ক্বেবলার শানে মানাক্বাত পরিবেশন।
মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, ও মাওলানা নিয়ামুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলের সভাপতি বলেন, ফিলিস্তিনকে ইসরায়েলি দখলদারি মুক্ত করণে ও.আই.সি-আরবলীগ-জাতিসংঘসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের বলিষ্ঠ ভূমিকা চাই। ফিলিস্তিনের গাজার দিকে তাকালে মনে হয় বিশ্ব হতে মানবতা ও মনুষ্যত্ববোধ আজ বিদায় নিয়েছে। ইসলায়েলের বর্বরতা হতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউ বাদ যাচ্ছে না। এমনকি হাসপাতলগুলো ওদের বর্বরতার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। তাই এই জালিমদের প্রতিরোধে প্রয়োজনে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অরোধ আরোপের মত কঠিন সিন্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বনেতাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা ২০০ কোটি মুসলমানের প্রাণের দাবি। এ সময় তিনি ইসরায়েল এবং পশ্চিমা মিত্রদের পণ্য বর্জনের জন্য মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
মশুরীখোলা দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.) সম্পর্কে তিনি বলেন, হযরত কেবলা ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন ধর্মপ্রচারক ও আধ্যাত্ম জগতের নব আকাশের দীপ্তময় সূর্য। তাঁর হাতধরে অজস্র অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামীর বিরুদ্ধে আমৃত্য সংগ্রাম করে গেছেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্নে তিন হাজার টাকা অনুদান প্রদানসহ আর্তমানবতার সেবায় তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। এ বঙ্গের আত্মসামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষার নানা উন্নয়ন এবং সংস্কারের জন্য হযরত কেবলার অসামান্য অবদানের অবিস্মরণীয় হয়ে রইবে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ মুফতি কাজী আবু জাফর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, দরবারএ বেতাগী আস্তানা শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত মাওলানা মুহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, নিজপানুয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত মাওলানা সৈয়্যদ বদরুল কামাল , মুফতি নাজমুস সায়াদাত ফয়েজী, মুফতি মঈনুদ্দীন হেলাল প্রমুখ।
এতে দেশবরেণ্য বহু আলেম-ওলামা, শিক্ষাবিদ, ধর্মতত্ত্ববিদ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী সহ দরবার শরীফের গণ্যমান্য ব্যক্তি বক্তব্য রাখেন।
সম্মিলিতভাবে তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজ আদায় পূর্বক মিলাদ ক্বিয়াম, আখেরী মুনাজাত ও তাবারুক বিতরণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। পীর সাহেব ক্বেবলা আখেরী মুনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং ফিলিস্তিনের নিরীহ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন।