পুকুরে জাতীয় ফুল লাল শাপলার হাসি
আমির হামজা, রাউজান:: পুকুরে নাম চম্পা, সেই চম্পা পুকুরের টলমলে স্বচ্ছ পানিতে ফোঁটা লাল শাপলা ফুলের হাসিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। ভোরে সূর্যের আলোর ফুটন্ত লাল শাপলা গুলো চোখ জুড়ানো হাসি গ্রামের পরিবেশ আলোকিত করে তুলেছে। বর্তমানে এই ফুল প্রায় বিলুপ্তির পথে। কারণ আগের দিনে পুকুরে বর্তমান সময়ের মতো মানুষ তেমন একটা মাছ চাষ করতেনা।
বর্তমানে এখন প্রায় পুকুরে করা হচ্ছে মাছ চাষ। সেখানে চাষিরা এই রকম শাপলা ফুলের গাছ গুলো উঠিয়ে নিয়েছেন। যার কারণে বর্তমান সময়ে আগেরকার দিনের মত গ্রাম-বাংলার এই সুন্দর শাপলা ফুল দেখা যাইনা।
একসময় পুকুর ভর্তি মাছের অন্যতম খাদ্য ছিল শাপলা ফুল তার পাতা। সেই সময়ের পুকুরের মাছ গুলো স্বাদ ছিলো অন্যরকম। বর্তমান সময়ে আগেরকার দিনের মতো পুকুরের মাছের সেই স্বাদ এখন আর মিলেনা। পুকুরের পরিবেশের ভারসাম্য জন্য শাপলার গাছগুলো ব্যাপক ভুমিকা রাখতেন। একসময় শাপলার ফুল বিক্রি করে গ্রামের অনেক মানুষ সংসার চালাতেন।
তবে রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী মহামুনি গ্রামের শেষ প্রান্তের রাঙ্গুনিয়া সীমান্ত এলাকার ছোট্র একটা পুকুরে লাল শাপলাদের চোখ জুড়ানো হাসির দেখা মিলবে। পুকুরের চারিদিকে সুবুজের হাসি, আর পুকুরে পানিতে ফোঁটে রয়েছে লাল শাপলা এই দুই পরিবেশে এই গ্রামের মানুষের মনেও হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহুবছর আগের পুরানো পুকুর ছোট্র পুকুরের বিস্তীর্ণ পানিতে স্বল্প পরিসরে ফুটেছে লাল শাপলা ফুল। ফুটন্ত ফুলের সাথে অনেক গুলো শাপলার কলি পূর্ণ ফুল হয়ে ফোঁটার প্রহর গুনছে। আর সবুজ শাপলা ও পদ্মা পাতায় ঢাকা পড়েছে পুকুরের জলরাশি। লাল শাপলা ফুল যখন বিলুপ্তির পথে তখন গ্রামের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে পুকুরে সুন্দর লাল শাপলা বিমোহিত করেছে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী ইসকান্দর বলেন,‘ আমাদের এলাকার এই পুকুরে কেউ মাছ চাষ করেনা, তাই প্রাকৃতিকভাবে এই পুকুরে সারাবছর আমাদের দেশের জাতীয় ফুল শাপলা ফোটে। পথের ধারে এই পুকুরে ফুটন্ত শাপলার সৌন্দর্যে দেখে আমি মুন্ধ হয়েছি। সময় পেলে এখানে চলে আসি। তবে বর্তমানে জাতীয় ফুল শাপলা প্রায় আমাদের থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।