রাউজানে বিনা বেতনে কৃষিকাজ করেন আদিবাসী নারীরা!
রাউজানে বোরো চাষে ব্যস্ত আদিবাসী নারীরা
আমির হামজা, রাউজান:: বিনা বেতনে কৃষিকাজ করেন আদিবাসী নারীরা। কথায় আছে দশের লাঠি একের বোঝা। মানুষ কখনো একা চলতে পারে না, পৃথিবীতে যে মানুষ একা তিনি নিঃসন্দেহে অসহায়। কিন্তু বর্তমান এই সময়ে মানুষের মধ্যে (একতাই বল) তার বাস্তব চিত্র দেখা গিয়েছে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার হলদিয়া বসবাস কারি আদিবাসী গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলরা হলদিয়া ইউনিয়নের দুর্গম গ্রাম বৃক্ষভানুপুর সেখানে বসবাস করেন অসংখ্যা আদিবাসী মানুষ। পাহাড়ের এই সমতল জমিতে নারী-পুরুষ দলবেঁধে একে অপরের সাথে তাল মিলিয়ে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা কৃষিকাজ করেন।
আধিবাসী কৃষাণি আগা ব্যয় মারমা ও সাই মং মারমা জানান,‘আমরা এখানে সবাই মিলেমিশে একে-অপরের যেকোন কৃষি কাজে সহযোগিতা করি। বিনা বেতনে আমরা প্রতিবেশীর কাজে সহযোগীতা করছি। ঠিক তারও একইভাবে আমাদের কৃষি কাজে এগিয়ে আসেন। এখানে শুধুমাত্র কাজের বিনিময়ে একবেলা ভাত খেতে দেওয়া হয়ে থাকে বলে তারা জানান।
এছাড়াও এই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে এখানকার কৃষকরা বোরো চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে হাল চাষ, বীজতলা থেকে চারা তোলা এবং জমিতে রোপনের কাজ।
এ ব্যাপারে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজীব কুমার সুশীল বলেন, ‘চলতি মৌসুমে রাউজান উপজেলায় বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছে স্থানীয় কৃষকরা। এবার ৪ হাজার ৮শত ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ১৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা সম্পুর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় হাইব্রিড ৮৭০ হেক্টর এবং উফশী ৪৮০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। তিনি জানান আবহাওয়া অনুকুল থাকলে আশা করছি এবারও কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।’