আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে রাউজানে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রকল্প
পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দানা ও চিপস
আমির হামজা, রাউজান: আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রকল্প। ইতোমধ্যে বাজারজাতের জন্য প্রস্তুত হয়েছে ১২ধরণের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দানা ও চিপস। এর মধ্যেদিয়ে সারা দেশে আলোড়ন ছড়িয়েছে প্রকল্পটি।
বছর দুয়েক ধরে পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন করতে প্লাস্টিক, পলিথিন সহ বর্জ্য সংগ্রহের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন পৌর মেয়র। এতে হত দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে বাসা বাড়ি ও রাস্তাঘাট হতে কুড়িয়ে আনা বস্তাভর্তি প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য ও আবর্জনা ক্রয় করা হয়। পরে সেখান থেকে অপচনশীল প্লাস্টিক ও পলিথিন আলাদা করে করা হয় রিসাইক্লিং প্রকল্প।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকায়। সংগ্রহকৃত প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্র থেকে প্রস্তুত হয়েছে ৩টনেরও বেশি প্লাস্টিক দানা ও চিপস।
যার বর্তমান বাজারমূল্যে প্রায় ৫লক্ষ টাকা। এরমধ্যে রয়েছে পানি এলডি (এইচডিপিই), দুধ এইচ ডি পি ই (এইচডিপিই), টিয়া পেট, সবুজ পেট, টাইগার পেট, পানি পেট (পেট বোতল), পানি পিপি, লাল পিপি, সবুজ পিপি, নীল পিপি, দুধ পিপি, কালো পিপি (পিপি) নামের ১২ ধরণের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দানা, চিপস ও পলিকণা।
এসব প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহার করা হয় দেশ বিদেশের ৪টি ভিন্ন মেশিন। তবে মেশিন সংখ্যা এবং কাজের গতি বাড়লে উৎপাদন আরো বাড়বে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধিদল প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গঠনের জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তা আজ ফল দিচ্ছে। আমরা ফেলে দেওয়া বর্জ্যকে রিসাইক্লিং করে ব্যবহার উপযোগী করতে সক্ষম হয়েছি। এতে করে পৌরসভা যেমন লাভবান হচ্ছে সাথে সাথে অসহায় ও সাধারণ মানুষও এসব জিনিস কুড়িয়ে এনে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর আগে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে রাউজান পৌরসভাকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচি গ্রহণ করেন পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। গত ২০২২ এর সেপ্টেম্বরে রাউজান পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনার বিষয়টির প্রশংসা করে তা অনুকরণ করতে দেশের অন্যান্য পৌরসভায় চিঠি ইস্যুসহ সুপারিশ করে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।