খবরাখবর

চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, বাসে আগুন

আমির হামজা, রাউজান: চট্টগ্রাম প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চুয়েট ক্যাম্পাস থেকে দুই শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে কাপ্তাই সড়কের যাত্রীবাহী বাস শাহ আমানত পরিবহনের ধাক্কায় নিহত হয়েছে।

এই ঘটনা ঘটেছে (২২ এপ্রিল) সোমবার বিকাল ৩টার দিকে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (তৃতীয় বর্ষ) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসেন।

তাদের মধ্যে শান্ত সাহার লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং তৌফিক হোসেনের লাশ এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে চুয়েটের ইইই বিভাগের মো: জাকারিয়া হাসান হিমু। তিনি চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহত শান্ত সাহা গ্রামের বাড়ি নরসিংদী উপজেলার নরসিংদী সদরের ৪নম্বর ওর্য়াডের কাজল সাহা ছেলে। তৌফিক হোসেনের বাড়ি নোয়াখালীর নিউ কলেজ রোডের সুধারাম ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

এই দুর্ঘটনার সংবাদ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে চুয়েট সামনের সড়ক অবরোধ করে। বিকালে তিনটি যাত্রীবাহী বাস সড়ক থেকে ধরে ক্যাম্পাসের ভিতর নিয়ে যায়।

এ সময় কাপ্তাই সড়কের ইমাম গাজ্জালী কলেজ এর সামনে একটি ট্রাক সড়কের উপর আড়াআড়ি করে রেখে ও সড়কের পশ্চিম দিকে পাহাড়তলী বাজারে পূর্ব পার্শ্বে ব্যারিকেট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। এসময় দুই পাশে হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়ে।

রাত আটটার দিকে ক্যাম্পাস থেকে একটি বাস বের করে কাপ্তাই সড়কের উপর এনে প্রথমে ভাংচুর। পরে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আগুন দেয়ার সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের বিরত রাখার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দিয়ে পুলিশকে পিছুহঠিয়ে দেয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, কাপ্তাই সড়কে বাস-সিএনজি বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসের অনেক শিক্ষার্থীদের আহত করেছে। আমরা একটি নিরাপদ সড়ক চাই, আজকে দুইজন মেধাবী শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সড়কে আর কোনো মানুষের মৃত্যু যাতে না হয়।

রাত সাড়ে ৯টার পর সড়কে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসে অবস্থান করেন।

এ ব্যাপরে রাউজান থানার ওসি জাহেদ হোসেন বলেন, বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাত নয়টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানা থেকে ২টি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে গাড়ীর আগুন নিভায়। রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেট তুলে নিলে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ব্যাপারে চুয়েটের উপপরিচালক (জনসংযোগ) ফজলুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন দুই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে চুয়েট পরিবার শোকাহত।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button