বিক্ষোভে উত্তাল চুয়েট ক্যাম্পাস, নয়দফা শিক্ষার্থীদের দাবি
আমির হামজা, রাউজান: চট্টগ্রাম প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চুয়েট ক্যাম্পাস থেকে দুই শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে কাপ্তাই সড়কের যাত্রীবাহী বাস শাহ আমানত পরিবহনের ধাক্কায় নিহত হয়।
গত সোমবার বিকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে চুয়েটের ইইই বিভাগের মো: জাকারিয়া হাসান হিমু।
এদিকে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে নতুন করে আবারও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাস জুড়ে।
সকাল ৯টার দিকে কাপ্তাই সড়কে গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীরা যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এসময় দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। দুপুর ১২.৪০ মিনিটে কাপ্তাই সড়কে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযা নামাজের অংশগ্রহণ করেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদসহ চুয়েটের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা নয়দফা দাবি ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীরা চুয়েটের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক সুমন দের পদত্যাগ দাবি করেন।
নয়দফা দাবি তুলে ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, পলাতক শাহ আমানত বাসের চালক ও হেলপারকে দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
কাপ্তাই সড়কে এবি ট্রাভেলস ও শাহ আমানত বাস সার্ভিস চলাচল নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকালে থেকে আবারও আন্দোলন শুরু হলে কাপ্তাই সড়কে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা শাহ আমানত পরিবহনের আরও ২টি গাড়ি ভাংচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীরা জানান তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এবং সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
বিকাল ৩টায় চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চত্তরে চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ও রাউজানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগজ্যাই মারমা শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন বলে আশ্বাস দেন। এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে চুয়েটের উপপরিচালক (জনসংযোগ) ফজলুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।