হালদার রেণু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে
আমির হামজা, রাউজান: দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ার পর রাউজান-হাটহাজারী হ্যাচারিগুলোতে উৎপাদিত রেণু দেদার কেনা-বেচা চলছে।
এবার প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ডিম থেকে রেণু উৎপাদনের পর হালদা পাড়ের জেলেদের কাছ থেকে রেণু কেনার জন্য হ্যাচারিগুলোতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় হতে ভিড় করছেন মৎস্য চাষীরা।
নদীর দুই পাড়ে হাটহাজারী অংশে মদুনাঘাট হ্যাচারীতে, শাহ মাদারী হ্যাচারীতে, মাছুয়াঘোনায়, রাউজানের অংশের মোবারকখীল হ্যাচারীতে ও এনজিও সংস্থা আইডিএফ হ্যাচারিতে উৎপাদিত রেণু বিক্রি হচ্ছে।
তবে ২০২৩ সালে উৎপাদিত রেণু বিক্রি হয়েছিল ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার পর্যন্ত। এবার প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার। সেই তুলনায় উৎপাদিত রেণুর দাম কিছুটা বেড়েছে এবার।
জেলেরা বলেন, আমাদের হ্যাচারিতে ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু গত ১১ মে থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা মৎস্য চাষিরা আমাদের সাথে দরকষাকষির মাধ্যমে এবার ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিকেজি রেণু বিক্রি করছি।
এ ব্যাপারে কথা হলে হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.মো.শফিকুল ইসলাম জানান, এবার হালদা থেকে সংগ্রহ করা ডিমের পরিমাণ ১ হাজার ৬৮০ কেজি। উৎপাদিত রেণু বিক্রি হচ্ছে সবনির্ম্ন ৮০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১,৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
তিনি জানান ৪০ কেজি ডিম হতে ১ কেজি রেণু উৎপাদন হয়। সেই হিসেবে উৎপাদিত রেণুর সংখ্যা ৪২ কেজি হওয়ার কথা। জুন মাসে আরও ২টি জোঁ (অমাবস্যা জোঁ-৩ থেকে ৮ জুন, পূর্ণিমার জোঁ- ২০ থেকে ২৪ জুন) রয়েছে আশা করছি অনূকুল পরিবেশ অর্থাৎ বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নেমে আসলে সেই সময়ে মা মাছ নদীতে পুরোদমে ডিম ছাড়বে। তবে রেণু কম হওয়ায় দাম একটু বেশি। তবে পুরোদমে মা মাছ ডিম ছাড়লে, পর্যাপ্ত পরিমাণে যদি ডিম পাওয়া যায় তাহলে সেই সময়ে রেণুর দাম কিছুটা কমবে।