ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব সকল স্বার্থের উর্ধ্বে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী (ঢাকা, সোমবার, ১০ জুন) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব সকল স্বার্থের উর্ধ্বে, এই সম্পর্ককে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
আজ (১০ জুন) বিকেলে ঢাকা ক্লাবে ‘ব্যতিক্রম ম্যাসডো’ (ব্যতিক্রম গণসচেতনতা ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা) আয়োজিত ‘ব্যতিক্রম শিক্ষা সম্মেলন-২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী। দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাস অনেক পুরানো। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভারত আমাদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহযাত্রী হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত।
প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সদ্য শপথ গ্রহণ করা নরেন্দ্র মোদিকে টানা তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, ভারতের সাথে আমাদের বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি। সীমান্তের ৩২ টি জেলা জুড়েই প্রতিবেশীর অবস্থান, যা দুদেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম সহায়ক।
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেমন ভারতে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তাদের দেশ থেকেও অনেকে আমাদের এখানে পড়তে আসছে। এই সাফল্যের যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলেই আমি মনে করি।
ওয়াদুদ এসময় আরও যোগ করে বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান চর্চায় বেশি মনোযোগী হতে হবে। তাহলে দেশের নাম উজ্জ্বল হবে। এ ধরণের শিক্ষা সম্মেলন দুদেশের সম্পর্ককে মজবুত করে। তাই এমন সম্মেলন বেশি বেশি আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার প্রতি বর্তমান প্রজন্মকে অধিকহারে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, সকলের সমবেত চেষ্টায় আমাদের আগামীর প্রজন্মের জন্য বিশ্বব্যাপী কাজ করে একটি সুন্দর পৃথিবী নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় আরও বক্তব্য প্রদান করেন সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ড. শঙ্কু বোস, এটুআই ই গভার্নেন্স প্রধান ড. ফরহাদ জাহিদ, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক মেজর শামসুল আরেফিন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গণেশ চন্দ্র সাহাসহ প্রমুখ।