খবরাখবর

ফটিকছড়িতে ৪৮০ কেজি ওজনের সাদা বাবুর দাম হাঁকা হয়েছে ৭ লাখ টাকা

আড়াই বছর পর গোয়াল থেকে বের হল ‘সাদাবাবু’

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: উৎসুক জনতা কি যেন দেখছে। কাছে গিয়ে দেখা যায় সাদা রং এর বিশাল দেহের এক গরু। অনেক ক্রেতা দামও জিজ্ঞেস করছেন মালিকের কাছে। দাম হাঁকা হয় ৭ লাখ টাকা। প্রায় ৪৮০ কেজি ওজন হবে বলে জানান গরুটির মালিক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী।

ফটিকছড়ির অন্যতম বৃহত্তম নাজিরহাট বাজারে এ পশুটি দেখা যায়। মঙ্গলবার হাটের দিন গরুটি নিয়ে আসেন মালিক। লোকজন দেখে গরুটি বারবার মাথা নাড়ছিল । মালিকরা গরুর শরীরে হাত বুলিয়ে শান্ত করছিলেন।

উপজেলার নাজিরজাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কুম্ভারপাড়া আমির খান চৌধুরীর বাড়িতে সাদাবাবুর জন্ম।

মালিক এনাম চৌধুরী জানান, তাঁর একটি গাভি ছিল। সেটি থেকেই সাদাবাবুর জন্ম। এটির বয়স এখন আড়াই বছর। দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটি হৃষ্টপুষ্ট করেছেন তিনি। প্রয়োজনমতো খাবার দেন ও পরিচর্যা করেন। ৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার ধবধবে সাদা শরীরে কালো ছাপের একটি ষাঁড়। এটির ওজন প্রায় ১২ মণ বলে দাবি মালিকের।
ভালোবেসে গরুটির মালিক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী সাদাবাবু নাম রেখেছেন। পেশায় সার্ভেয়ার এনাম ও তার ছোট ভাই আক্কাস ২ বছর ৬ মাস ধরে ষাঁড়টি পালন করছেন।

আক্কাছ জানান, বিশাল শরীরের অধিকারী হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই লোকজন বাড়িতে গরুটিকে দেখতে আসে। বাজারেও লোকজন দেখার জন্য ভীড় জমে আছে।

মোহাম্মদ লোকমান নামের জনৈক ব্যক্তি বলেন, গরুটি দেখতে অনেক সুন্দর অনেক বড় গরু। গরুর নাম সাদাবাবু শুনেই দেখতে এসেছি।’

ষাঁড়টির মালিক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী বলেন, সাদাবাবু দেশি জাতের গরু। এর খাদ্যতালিকায় আছে কাঁচা ঘাস, খড় ও খুদের ভাত। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন প্রায় ৩ বেলায় প্রায় ২৫ কেজি খাবার খায়।

তিনি বলেন, ‘গরু লালন-পালন করতে আমার ভালোই লাগে। সার্ভেয়ারের কাজ শেষ করেই সাদাবাবুর কাছে চলে আসি। নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি পালন করেছি।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button