ফটিকছড়িতে কোরবানি পশুর হিসেবে চাহিদা বেড়েছে মহিষের
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে কোরবানি পশু হিসেবে মহিষের চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন হাটবাজারও খামারে ক্রেতার চাহিদাকে সামনে রেখে বেপারি ও খামারিরা গরুর পাশাপাশি মহিষও তুলছে।
উপজেলার, নাজিরহাট, বিবিরহাট, নানুপুর, কাজিরহাট, চিকনচড়া, শান্তিরহাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে গরুর পাশাপাশি মহিষও চোখে পড়ার মত। এছাড়া বিভিন্ন খামারেও মহিষ লালন পালন এবং বিক্রির জন্য নিয়ে আসছে খামারিরা।
নাজিরহাট বাজারে মহিষ কিনতে আসা জানে আলম বলেন,আমি বিগত কয়েক বছর ধরে মহিষ দিয়ে কোরবানি করি। এ বছরও মহিষ নেওয়ার ইচ্ছে। তাই বাজারে দেখতে আসলাম।
বিবিরহাট বাজারে মহিষ কিনতে আসা প্রবাসী মোহাম্মদ বেলাল বলেন,আমার মায়ের ইচ্ছায় গরুর পাশাপাশ একটি করে মহিষ কোরবানি দি। এ বছরও মহিষ কোরবানি দেব।
কুতুব শাহ বাড়ির মওলানা মোহাম্মদ জাপর বলেন,কোরবানি দেওয়ার জন্য মহিষ নিয়েছি।
সুয়াবিল এলাকার মোহাম্ম সেলিম বলেন,আমার জন্য ও আমার এক আত্মীয়র জন্য কোরবানি দিতে মহিষ নিয়েছি দুটো।
প্রবাসী মোহাম্মদ হাসেম বলেন, আমিও কোরবানি দেওয়ার জন্য মহিষ নেব।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদদ এয়াকুব বলেন,কোরবানি দেওয়ার জন্য মহিষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আমার জানা শোনা অনেকেই কোরবানির জন্য মহিষ নিচ্ছেন।
বিক্রেতা জসিম বলের,গরুর পাশাপাশি মহিষ দিয়েও মানুষ এখন কোরবানি করে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী আমরা মহিষ নিয়ে আসছি বাজারে।
খাঁন ডেইরি ফার্মের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম খাঁন বলেন,গরুর পাশাপাশি আমাদের খামারে মহিষও রয়েছে। এখন অনেকেই কোরবানিতে মহিষ নেয়।
এদিকে গরুর চেয়ে মহিষের দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলেন,মহিষগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে আনতে হয়। খরচ বেশি পড়ে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
উল্লেখ্য,উপজেলায় মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফসসহ অসংখ্য আউলিয়া ক্বেরামের মাজার রয়েছে। আওলিয়া ক্বেরামের ওরশ শরীফে মহিষের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। সে সুবাধে ফটিকছড়িতে গড়ে উঠেছে অনেক খামার। এসব খামারে সারা বছরই মহিষ পাওয়া যায়।