খবরাখবর

ফটিকছড়িতে পরাটা আর বাখরখানি অর্ডার দেওয়ার হিড়িক

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে দোকানে দোকানে পরটা ও বাখরখানি অর্ডার দেওয়ার হিড়িক পড়েছে।

পবিত্র ঈদুল আযহার সময় কোরাবানি মাংস খেতে পরটা ও বাখরখানির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।এসময় অনেকে ঘরে পরাটা ও বাখরখানি বানানোর ঝামেলা এড়াতে দোকানে পরাটার অর্ডার দেয়।

উপজেলার নাজিরহাট,বিবিরহাট,নানুপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন চায়ের দোকানে পরটার অর্ডার দিতে ক্রেতার পচন্ড ভীড়। চাহিদা অনুযায়ী পরটা অর্ডার নিতেও হিমশিম খাচ্ছে দোকানদাররা। এমতবস্থায় অনেকে পরাটা অর্ডার দিতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যেতেও দেখা যায়। অনেকে সপ্তাহ আগে থেকে অগ্রিম অর্ডারও দিয়েছেন বলে জানান দোকানদাররা। এছাড়া বিভিন্ন বেকারী ও মিষ্টির দোকানে অর্ডার নেওয়া হচ্ছে বাখরখানির।

সিজল নাজিরহাট শাখার স্বত্তাধিকারী আলি নেওয়াজ বলেন,আমরা ইতোমধ্যে কয়েক হাজার বাখরখানির অর্ডার পেয়েছি। কাল পরশু আরো পাব। নানুপুর রাজবাড়ী মিষ্টি বিতান এন্ড হোটেল স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম বলেন,আমরাও পবিত্র কোরবানি উপলক্ষে পরটা ও বাখরখানি অর্ডার

নিচ্ছি।

এদিকে ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন,পরটা ও বাখরখানির দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, কারিগররা ঈদের ছুটি পাই। বেশি বেতন দিয়ে কাজ করাতে হবে তাই পরটার দাম একটু বেশি নিতে হচ্ছে।

বাখরখানি দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে সিজল নাজিরহাট শাখার স্বত্তাধিকারী আলি নেওয়াজ বলেন,আমরা কোম্পানীর নির্ধারন করে দেওয়া প্রাইজে বিক্রি করি।

বিভিন্ন দোকানে প্রতি পিচ বাখরখানি বিক্রি করছে ১০টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি শত পরাটা ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে মাংসের সাথে পরাটা নিয়ে যাওয়া এক রকম প্রথা চালু হওয়ায় পরাটার চাহিদা বেড়েছে।

পরাটা অর্ডার দিতে আসা আরিফ বলেন,বাড়িতে পরাটা বানানো ঝামেলা। তাই দোকান থেকে পরাটা অর্ডার দিতে আসলাম।

জামাল নামের একজন বলেন,পরটার জন্য কয়েক দোকান ঘুরেছি অনেক দোকান অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

পরাটা বিক্রেতা জাগির সওদাগর বলেন, কোরাবানি ঈদে পরাটার চাহিদা বাড়ে। অনেকে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে থাকে।

পরাটা বিক্রেতা এমরান বলেন,অগ্রিম অর্ডার ছাড়াও কোরবানির দিন শুরু করে এক সপ্তাহ জুড়ে পরাটা বিক্রি হবে জমজমাট ভাবে।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button