ফটিকছড়িতে শেষ দিনে পশু জবাই ও মাংস কাটা সরঞ্জাম কেনার হিড়িক
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে কোরবানি পশু ক্রয় শেষে ধুম পড়েছে পশু জবাই ও মাংস কাটার সরাঞ্জম ক্রয়ে।
পবিত্র ঈদ-উল আযহা কোরবানিকে সামনে রেখে যারা কোরবানি দেবেন তাদের বেশিরভাগই ইতোমধ্যে মধ্যে পশু কিনে ফেলেছেন। আর যারা এখনও কেনেননি তারাও আজ পশু কিনে নিবেন।
কোরবানির পশু কেনার পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরাঞ্জম ক্রয় করছেন কোরাবানি দাতারা।
উপজেলার
নাজিরহাট,বিবিরহাট,নানুপুর,আজাদীবাজার,কাজিরহাটসহ বিভিন্নস্থানে গিয়ে দেখা যায়,দা, ছুরি, চাপাতি, বটি,চাটাই,মাদুর,টুকরি,কাঠের গুঁড়ি,বালতিসহ কোরবানি পশু জবাই ও মাংস কাটা সংক্রান্ত ইত্যাদি সরঞ্জাম কেনার হিড়িক পড়েছে। ফলে শেষ মুহূর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম বিক্রি।
কোরবানির পশু জবাই থেকে শুরু করে চামড়া ছাড়ানো এবং মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত এসব সরঞ্জাম কেনার জন্য ক্রেতারা ছুটছেন কামারশালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থায়ী ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দোকানে। কামার দোকান ছাড়াও অস্থায়ী দোকানগুলোতে দা, বটি,বিভিন্ন সাইজের চাকু, চাপাতিসহ পশু জবাইয়ের বিভিন্ন উপকরণ শোভা পাচ্ছে।
চাকু কিনতে আসা রুবেল বলেন,কোরবানি পশুর চামড়া ছাড়াতে ভাল চাকু না হলে হয়না,তাই স্টিলের তৈরি চাকু নিতে আসলাম। কামার দোকানে আসা মামুন বলেন,দা,ছুরি,বটি শান দেওয়ার জন্য দিয়ে গেছি কয়েকদিন হচ্ছে আজ নিতে আসলাম।
বিভিন্ন ফার্নিচার দোকান,কাঠের দোকান ছাড়াও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন কাঠের গুঁড়ি,এক একটি কাঠের গুঁড়ি ১৫০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাঠের গুঁড়ি নিতে আসা শাহ আলম বলেন,তেতুল গাছের একটি গুঁড়ি নিলাম ৪৫০ টাকা দিয়ে।
বিক্রেতা আসলাম বলেন,পশু কোরাবানি দিয়ে মাংস কাটার জন্য কাঠের গুঁড়ি প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিবছর এ সময় কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করি। ভালই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে মাদুর,চাটাই,টুকরি,বালতি,চালের রুটি বানানোর সরাঞ্জমও বিক্রি হচ্ছে জমজমাট ভাবে। চাটাই ও টুকরি কিনতে আসা বাবুল বলেন,মাংস কাটার জন্য চাটাইতে রাখতে হয় এবং মাংস কেটে টুকরিতে নিতে হয়।
বিক্রেতা আব্দুল মাবুদ বলেন কোরবানি উপলক্ষ্যে ভালি বিক্রি হচ্ছে চাটাই,টুকরিসহ বিভিন্ন সরাঞ্জামাদি।