পেশাদার কসাইদের পোয়াবারো, দা ছুরি হাতে নব্য কসাই!
মোহাস্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: পেশাদার কসাইদের সময়টা যেন পোয়াবারো। কোরবানি পশু জবাইয় ও মাংস কাটতে দাম চাওয়া হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া। অনেকে পেশাদার না হলেও কোরবানি উপলক্ষে বেতন ভিত্তিক কোরবানি মাংস কাটতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
তবে কোরবানি দাতাদের অনেকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বা পেশাদার কসাই না হলেও আজ সবাই কসাই রুপে। এ যেন দা ছুরি হাতে অসংখ্য নব্য কসাই। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানী দিয়ে পরিবারের বড় ছোট সকলেই মিলে গরু জবাই মাংস কাটার এমন দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে ফটিকছড়ির সর্বত্রই।
যারা কোরবান করছেন তারা ঈদের নামায শেষে কোরবানি পশু জবায় দেয়। কসাই অভিজ্ঞতা না থাকলেও সকলেই আনন্দের সহিত মাংস কেটে রান্নার উপযোগী করছেন।আজ যেন সবাই কসাই।
অনেকে পাশাপাশি পেশাদার কসাইদেরও রেখেছেন।
সাবেক কাউন্সিলর শাহনেওয়াজ সেবুল বলেন,এ সময় পেশাদার কসাইও তেমন পাওয়া যায়না। প্রায় কয়েকমাস আগে থেকে বলে রাখতে হয়। আমাদের একটি গরু কাটতে দাম চেয়েছে পনের হাজার টাকা।
উপজেলার বিভিন্নস্থানে গিয়ে দেখা যায়,আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে কোরবানি পশুর মাংস কাটছেন কোরবানি দাতারা। কেউ কোরবানি পশুর পা ধরছেন,কেউ চামড়া আলেদা করছেন,কেউ মাংস কাটছেন এভাবে সকলে মিলে মাংস কাটছেন কসাই সাজে। পরিবারের ছোট্ট সদস্যটিও কিছুনা কিছু করছে। আর বয়োবৃদ্ধ যিনি পারছেননা তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন। মহিলারাও হাতে হাত লাগিয়ে সহযোগীতা করছেন এবং রান্নার উপযোগী হলে রান্না করছেন।
মোহাম্মদ মামুন বলেন,পেশাদার কসাই না হলেও বছরে একবার কসাই সাজতে হয় কোরবানীর সময়।
রুবেল বলেন,সকলে মিলে মাংস কাটতে ভাল লাগে।
সারা ফটিকছড়ি জুড়ে চলছে পবিত্র ঈদুল আযহার আমেজ।
গরিব দুঃখিদের মাঝে বিতরণ করছেন, সকলে মিলে রান্না করা মাংস খাচ্ছেন,আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। একে অপরে পাড়া প্রতিবেশির ঘরে,আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতেও যাচ্ছেন, মাংসা কাটা শেষ হয়েছে কিনা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এক কথায় ফটিকছড়ি জুড়ে অন্যরকম দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।