ফটিকছড়িতে একসাথে কোরাবানি মাংস রুটি খাওয়ার উৎসব
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: একসাথে কোরাবানি মাংস খাওয়ার উৎসব বা মেলা এখনো চালু রয়েছে ফটিকছড়ির বিভিন্ন স্থানে।তবে আগের মত জৌলুস নেই কোরাবানি মাংস খাওয়ার এ উৎসবের।
জানা যায়,এক সময় ঈদুল আযাহার দিন উপজেলার প্রায় বাড়ি,পাড়া,মহল্লায় কোরাবানির দিন একসাথে কোরাবানি মাংস খাওয়ার আয়োজন হতো।
পাড়ার জমিদার,সর্দার,বা এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বাড়ির উঠানে বা মসজিদের প্রাঙ্গনে এ আয়োজন হতো। যারা কোরাবানি করেছে তারা মাংস রুটি নিয়ে যেত। এতে যারা কোরাবানি করেছে তারাও যেত যারা করেনি তারাও যেত। ছোট বড় ধনি গরিব ভেদাভেদহীন এক মিলন মেলায় পরিনত হতো। এখন আর এ দৃশ্য তেমন চোখে পড়েনা।
নাজিরহাট গোল মোহাম্মদ তালুকদার বাড়ির মোহাম্মদ আলি নেওয়াজ বলেন কোরাবানি ঈদের দিন এক সময় আমাদের বাড়িতেও বাড়ির সকলে এক জায়গায় মিলিত হয়ে মাংস রুটি খাওয়ার আয়োজন হতো। এখন আর তেমন হয়না। সবাই যেন দিন দিন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে।
মোহাম্মদ মনজু বলেন, কুরবানির দিন আমাদের বাড়ির একটা ঐতিহ্য ছিল যাহা অন্য কোনো বাড়িতে আছে কিনা আমার জানা নেই,কুরবানির দিন বিকাল বেলা বাড়ির সবাই মিলে সর্দারদের বাড়িতে যাইতাম সবাই মিলে রুটি আর মাংস খাইতাম, সেই এক অন্য রকম মিলন মেলা। এই মিলন মেলার লোকজন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে আমাদের ব্যস্ততার কারনে।আমাদের বাড়ির সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন মনে করি।
এদিকে এ ঐতিহ্য এখনো রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে ফটিকছড়ি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড উত্তর রাঙ্গামাটিয়া মুল্লুক শাহ চৌধুরী বাড়িতেও শত বছর ধরে ঈদের দিন বিকেলে এ আয়োজন হয়।
উক্ত এলাকার বাসিন্দা ও কাউন্সিলর সাংবাদিক মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন,কয়েক শত বছর যাবৎ চলে আসা ঐতিহ্য এখনো ধরে রাখতে মুল্লুক শাহ চৌধুরী বাড়ীর সকল কোরবানী দাতারা মাংস ও পিঠা নিয়ে একত্রিত করে মুরুব্বী থেকে শিশু এক সাথে আনন্দের সহিত মাংস ও পিঠা পরিবেশন করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকলের সাথে একসাথে মাংস রুটি খাওয়ার আনন্দটা অন্য রকম।