খবরাখবর

ভদ্রঘাট যুদ্ধদিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা জনতা মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাটে বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা যুবশিবির আয়োজিত পলাশডাঙ্গা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ভদ্রঘাট যুদ্ধদিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২০ জুন-২০২৪ খ্রীঃ) দিনব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মিলনমেলা হয়।

সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত, গীতা থেকে পাঠ, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় ৪ নেতাসহ সকল বীরশহীদদের প্রতিশ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্মারক সন্মাননা প্রদান করা হয়। পলাশ ডাঙ্গা যুবশিবির প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি বৃক্ষ রোপন করেন।

এর আগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রণালয় মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম.মোজাম্মেল হক, এমপি এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ড.জান্নাত আরা হেনরী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সভাপতি, (উল্লাপাড়া – সলঙ্গা একাংশ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শামীম তালুকদার লাবু, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে. এম. হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সামাদ তালুকদার সহ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ পলাশ ডাঙ্গা স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।

এ অনুষ্ঠানে আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন, পলাশ ডাঙ্গা যুবশিবিরের সহকারী পরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস।

মুক্তিযোদ্ধা জনতা মিলনমেলা এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রনালয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম.মোজাম্মেল হক, এমপি।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ-২ সদর-কামারখন্দ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শামীম তালুকদার লাবু , জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে. এম. হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদ তালুকদার প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনারক্ষায় ‘পলাশ ডাঙ্গা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় সংসদসদস্য কে সংগ্রামী অভিনন্দন জানান বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে বক্তারা বলেন, একাত্তরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহবানে এদেশের দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ফিরে আনেন প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা। যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভেই প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা’র নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কালিবাড়ী ভদ্রঘাট, জাঙ্গাইলা গাঁতী এলাকায় গড়ে ওঠে মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবির’। এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা সিরাজগঞ্জ-পাবনা- নাটোর জেলার বিভিন্ন স্থানে ও চলনবিল এলাকায় পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৭ জুন সিরাজগঞ্জের ভদ্রঘাটে পাক হানাদার বাহিনী আক্রমণ করলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের এই আক্রমণ প্রতিহত করে। দীর্ঘ যুদ্ধ শেষে হানাদাররা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু এই ভয়াবহ যুদ্ধে কোনো বীরমুক্তিযোদ্ধা হতাহত হননি। আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধারা সেই যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করেন।

এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পলাশ ডাঙ্গার কমান্ডার ইন-চীফ (সিএনসি) গাজী সোহরাব আলী সরকার, সাবেক কামারখন্দ উপজেলা কমান্ডার গাজী মোঃ শাহাদত হোসেন ফিরোজী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফজলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ টুংকু বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার সুযোগ্য কন্যা উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিনা মির্জা মুক্তি, সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক খাঁন প্রমুখ।

এ অনুষ্ঠানে সকল বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দগণ, সুধীজন ও গুনীজন, সাংবাদিকদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button