খবরাখবর

ফটিকছড়িতে ৩টি মেশিন ও বালু জব্দ এবং নিষিদ্ধ গাড়া জালসহ আটক ২

ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বালু তোলার তিনটি মেশিন ও পাঁচ হাজার ঘনমিটার বালু জব্দ এবং নিষিদ্ধ গাড়া জালসহ দুইজন আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

২৪ জুন ফটিকছড়ি-রাউজান সীমান্তবর্তী
খিরাম ও ধর্মপুর ইউনিয়নের সর্তার খালে অভিযান পরিচালনা করেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরীর

পরিচালিত অভিযানে সরকারী আদেশ অমান্য করে সর্তার খাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অবস্থায় তিনটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। এসময় প্রায় ৫ হাজার ঘনমিটার বালু জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে জব্দকৃত বালু উন্মুক্ত নিলামে ৪৪ হাজার টাকায় বিক্রয় করে প্রাপ্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে যুক্ত ব্যাক্তিদের বিস্তারিত তথ্য তদন্ত পূর্বক পরবর্তী অধিকতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযানে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, খিরাম ও ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীবৃন্দ, ধর্মপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান, আনসার সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন,অভিযানে তিনটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। এসময় প্রায় ৫ হাজার ঘনমিটার বালু জব্দ করা হয়।জব্দকৃত বালু উন্মুক্ত নিলামে ৪৪ হাজার টাকায় বিক্রয় করে প্রাপ্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়। এ ধরনের অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

এদিকে জাফতনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের হালদা নদীর শাখা নদী তেলপাড়ই খালে ফটিকছড়ি সহকারী কমিশনার ভূমি মো: মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে সরকারী আদেশ অমান্য করে হালদার শাখা নদী তেলপাড়ই খাল হতে নিষিদ্ধ গাড়া জাল ব্যবহার করে প্রজনন মৌসুমে মাছ ও মাছের পোনা আহরণ করার অপরাধে উক্ত এলাকার আমিনুল হকের পুত্র হাবিবুর রহমান এবং মো: ইদ্রিসের পুত্র নুরুল আবছার নামীয় দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় আসামীদের নিকট হতে অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১৮৫ মিটার নিষিদ্ধ গাড়া জাল জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে আসামীদ্বয় তাদের অপরাধ স্বীকার করায় The Protection and Conservation of Fish Act, 1950 অনুসারে তাদেরকে ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অভিযানে উপজেলা মৎস্য অফিসার, ফটিকছড়ি, জাফতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ফটিকছড়ি থানার একটি চৌকস দল এবং ভূমি অফিসের কর্মচারীবৃন্দ ও এলাকাবাসী সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।

ফটিকছড়ি সহকারী কমিশনার ভূমি মো: মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আসামীদ্বয় তাদের অপরাধ স্বীকার করায় The Protection and Conservation of Fish Act, 1950 অনুসারে তাদেরকে ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয় বলে তিনি জানান।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button