দুমকী ইউপিতে চেয়ারম্যানের বাড়ীতে ভিজিএফ এর ৩১৭ বস্তা চাল জব্দ
মু,হেলাল আহম্মেদ (রিপন), পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুর মিয়ার বাড়ি থেকে গতকাল রাতে সাড়ে ১৭টন সরকারী ভিজিএফের চাল জব্দ করেছে দুমকী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো,শাহীন মাহামুদ।
গত শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ী থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।
এসময় দুমকী থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিন মাহামুদ এই চাল জব্দ করেন। তিনি এসময় জানান, প্রায় ৩১৭ বস্তা প্রতিটি বস্তায় ৫০কেজি করে চাল পাওয়া যায় তা নিয়েই জব্দ করা হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের এসময় আরও জানান, সরকারি চাল গোডাউন ব্যতীত অন্য কোথাও রাখার নিয়ম নেই এমনকি কোনো ব্যক্তিগত বাসা বাড়িতে রাখার নিয়ম নেই। এটি আইনত অপরাধ। আমি ঘটনাস্থলে চাল পেয়েছি তা জব্দ করে রেখে গেলাম। এ ব্যপারে আমার উর্ধতন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ঘটনার সময় চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা বাড়িতে ছিলেন না। তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাকে খবর দেয়া হলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে চলে আসেন। এবং তিনি বলেন আমি ৭,৮,৯, ওয়ার্ডের ভুক্তভোগীদের চাল দেয়ার জন্যই আমি চাল বাড়ীতে এনে রেখেছি। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহামুদ চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দিয়ে শুধু মাত্র চাল জব্দ করে চলে আসেন। বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এ ব্যপারে আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শুক্কুর মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠেকে জানান,আমি জেলেদের কষ্টের কথা চিন্তা করে ভিজিএফর চাল বাড়ীতে এনে রেখেছি। কারন পরিষদ থেকে চাল আনতে গেলে জেলেদের ২থেকে ৩শ টাকা খরচ পড়ে যায় তাই বিগত দিনে আমি বাড়ী বসেই চাল বিতরন করেছি।তাই আগের মত ভেবেই এবারো আমি চাল বাড়ীতে এনে রেখেছি। এটা আমার ভূল হয়েছে। আমি শ্বিকার করি। যেটা করেছি শুধু মাত্র জেলেদের কষ্টের কথা চিন্তা করে এটা করেছি। আমি ১৭ বছর চেয়ারম্যানি করছি আমার কোন বদনাম নেই আপনারা খোজ নিয়ে জানতে পারেন বলে জানান তিনি।