খাগড়াছড়িতে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অপ্রতুল
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি সদরে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে অধীক চাহিদার ফলে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার(৪ জুলাই) সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি বাজার সংলগ্ন বুলবুলি পট্টি (পুকর পাড়) পন্য বিক্রি শুরু করা হয়।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি পৌর সভায় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে ৬৪৩৭পরিবারের মাঝে। তবে সদর উপজেলায় মোট দেয়া হবে ৮৫৯০পরিবারকে। একজন ক্রেতা ৩০টাকা কেজি দরে ৫কেজি চাল, ৬০টাকা কেজি দরে ২কেজি মশুর ডাল এবং ১০০টাকা কেজি দরে ২লিটার সোয়াবিন তেল মোট ৪৭০টাকায় পাবেন।
এ ব্যাপারে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার মো. মেহেদী হাসান বলেন, সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১কোটি উপকারভোগী মানুষের মধ্যে ভর্তুকী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ৮৫৯০জন নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু করা হলো।খাগড়াছড়ি পৌর সভায় বিতরণ করেন, নতুন ডিলার মেসার্স তারিফা স্টোর, প্রোপাইটার মো. মেহেদী হাসান। তিনি বিক্রি করবেন ৬৪৩৭জনের মাঝে।
বিক্রিকালে লাইনে দাঁড়ানো সুবিধাভোগীরা জানান, নতুন ডিলার নিয়োগ হওয়ার পর আমরা যথাসময়ে টিসিবির পন্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারছি। আগে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষেরা লাইনে দাঁড়াতো, এখন এ লাইনে মধ্যবিত্তদেরও দেখা গেছে। তবে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় পন্য সামগ্রি অনেক কম। সরকারের নিকট তাদের দাবি, যেন এ বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রয়োজন অনুসারে ভোক্তাদের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ ও আপদকালিন মজুদ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সরকার ১লা জানুয়ারী ১৯৭২ইং রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-৬৮/১৯৭২ এর মাধ্যমে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রতিষ্ঠা করেন।