খবরাখবর

সোনালী ব্যাংকের ৯ কোটি টাকা ঋন, জেলা মহিলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক বেবী প্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালী ফৌজদারী পুল সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ বকেয়া থাকার মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০”‘জুলাই-২৪ ইং) তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড ফায়ার সার্ভিস রংধনু রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী অর্থ ঋন আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় পুলিশ বেবিকে আটকের কথা জানালেও বেবি নিজেকে জামিনে রয়েছেন বলে পুলিশ কে জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন একতা নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, ১৯৮৫ সালে পটুয়াখালী বিসিক এলাকায় মেসার্স পটুয়াখালী টেক্সটাইল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খুলে সোনালী ব্যাংক থেকে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋন গ্রহণ করেন সিরাজুল ইসলাম খান নামক এক ব্যক্তি। ওই কোম্পানির অর্ধেক শেয়ার নিজ নামে রেখে কোম্পানির পরিচালক পদ দিয়ে ২৫ ভাগ করে শেয়ার দেখানো হয় সিরাজুল এর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা বেবি এবং হামিদুল হক নামে এক ব্যক্তির নামে।

টেক্সটাইল টি ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংকের বকেয়া দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ সময়ের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম এবং হামিদুল হক মারা যান। এরপর ঋনের অর্থ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ম্যানেজার বাদী হয়ে পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতে জাকিয়া সুলতানা বেবি কে আসামি করে ২০০৪ সালে একটি মামলা দায়ের করেন।

ব্যাংক ম্যানেজার আরো জানান, ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সুদে-আসলে বর্তমান লেজার স্থিতি অনুযায়ী এ পর্যন্ত সুদ মওকুফের পর জাকিয়া সুলতানা বেবির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার কাছে ব্যাংকের বকেয়া পাওনা দাড়ায় প্রায় ৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর ঋণ গ্রহিতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।

গত মে মাসে জাকিয়া সুলতানা বেবি ১৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের কাছে সুদ মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোট সভা তিন কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত না মেনে বেবি প্রতিনিয়ত খিলাপি তালিকার শীর্ষ ওঠেন। পরবর্তীতে ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও গত ২৫ নভেম্বর ২৩ ইং পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০২৩ এর ৩৪(৭) ধারার বিধান অনুসারে (৬ মাসের) দেওয়ানী আটক আদেশ প্রদান করা হয় তাকে।

এ বিষয়ে সদর থানার তদন্ত অফিসার মোঃ আসাদ জানান, আটককৃত আসামি বেবিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button