ফটিকছড়িতে যানযট নিরসনে সাধারণ শিক্ষার্থী
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: পুলিশ বা ট্রাফিক পু্লিশ নয় ফটিকছড়িতে যানযট নিরসনে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।
৭ আগষ্ট সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার নাজিরহাট ঝংকার মোড়,নাজিরহাট বাজার,নাজির নতুন রাস্তার মাথা,বিবিরহাট বাস স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে যানযট নিরসনে কাজ করছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মুখে বাশিঁ,হাতে লাঠি,কপালে বুকে জাতীয় পতকা বেঁধে শিক্ষার্থীদের যানযট নিরসন করতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে প্রতিনিয়ত যানযট লেগে থাকত। দীর্ঘ যানযটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হত। ছাত্ররা যানযট নিরসনে কাজ করছে বলে আজ কোন যানযট নাই। বিনা অভিজ্ঞাতয় যানযট নিরসনে তারা যে কাজ করছে সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
যানযট নিরসনে দায়িত্বরত শিক্ষার্থী আদনান সিদ্দিকি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ফটিকছড়ি বিভিন্নস্থানে ৫০ জনের অধিক ছাত্র যানযট নিরসনে কাজ করছি। এ দায়িত্ব পালনে আমাদের ভাল লাগছে।
এদিকে উপজেলা পরিষদের শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির ওপর নিহত আবু সাঈদের ছবি লাগিয়েছে ছাত্র- জনতা।
বর্তমানে এর নাম রাখা হয়েছে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর। বৈষম্যবিরোধী তারুণ্য মঞ্চের সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হকের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ইমাম হোসেন, ছাত্রনেতা মুন্না, নজরুল, আজম প্রমুখ।
এ সময় ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটিকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার বীর যোদ্ধা শহীদ আবু সাঈদ চত্বর ঘোষণা দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে আমরা এ আন্দোলনে সকল শহীদকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এটাকে স্থায়ীভাবে রূপ দেওয়া হবে। আবু সাঈদসহ সকল শহীদের রক্তের মূল্যায়ন হবে সবাই মিলে দেশটাকে সততা, ন্যায়নীতি ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারলে।
উল্লেখ্য,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে রূপ নিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ ভেঙে পড়ে। থানায় নেই পুলিশ। সড়কেও দায়িত্বে নেই ট্রাফিক পুলিশ। এ অবস্থায় যানযট নিরসনে এগিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা।