ফটিকছড়িতে জমে উঠেছে পাঠার হাট
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে জমে উঠেছে পাঠা ছাগলের বাজার।
হিন্দুর্ধমাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মনসা পূঁজা। এ পূঁজায় বলি দেওয়া হয় পাঠা ছাগল। এ পূঁজাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে পাঠা ছাগলের বাজার। বিগত কয়েক বছরের মত এই বছরও পাঠার মূল্য একটু বেশি বলে জানান ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
সরেজমিনে উপজেলার নাজিরহাট, বিবিরহাট, আজাদীবাজার,কাজির হাট, নারায়ন হাট, শান্তিরহাট, দাঁতমারা বাজার, হেয়াকো বাজার, চিকনছড়া বাজার, বাগান বাজার, কয়লা বাজার, বালুটিলা বাজার সহ আরো বিভিন্ন বাজার ইতোমধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্রয় বিক্রয়ের খেলায় জমে উঠেছে।
বিভিন্ন হাটে দেখা যায় মানসা পূঁজা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকায় জমে উঠেছে পাঠা ছাগল বিক্রির হাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগমের মধ্যে দিয়ে মূখরিত হয়ে উঠেছে ছাগলের হাট।
এ সব হাটে স্থানীয়দের পালিত ছাগলের পাশাপাশি বেপারিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে ছাগল সংগ্রহ করে বিক্রি করে। এমন কি ভারত, মায়ানমার থেকে আসা ছাগলও এসব হাটে পাওয়া যায়। ৪/৫ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা মূল্যের পর্যন্ত পাঠা পাওয়া যাচ্ছে।
এ দিকে বিগত কয়েক বছরের মত এই বছরও পাঠার মূল্য অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো হিমশিম খাচ্ছে পাঠা ক্রয়ে।
বিক্রেতারা দর কষাকষি র্পযায়ে তেমন একটা সুবিধা হচ্ছেনা বলে জানান।
ক্রেতা মিলন চন্দ্র নাথ বলেন, কয়েক বাজার ঘুরে দেখেছি পাঠার দাম বেশি। তবুও পছন্দের পাঠা ক্রয় করেছি।
ভাতিজাকে নিয়ে পাঠা ক্রয় করতে আসা রাজু বলেন,ঘুরেফিরে দেখছি পছন্দ হলে নিয়ে নেব।
ক্রেতা দিলিপ বাবু বলেন,চৌদ্দ হাজার টাকা দিয়ে নিয়েছি পাঠা।
বিক্রেতা মুন্না বলেন,আদর যত্নে লালন পালন করেছি আমার এ পাঠা। চাহিদা অনুযায়ী দাম এখনো উঠেনি।
বিক্রেতা সুমন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান সংগ্রহ করে এখানে বিক্রয় করতে আসি। বিভিন্নভাবে খরচ হয় বিধায় পাঠা বিক্রয়ে দামটা বেশি পড়ে। তাই পাঠার দাম একটু বেশি তবে অল্প লাভে ছেড়ে দিচ্ছি। ক্রেতা বিক্রেতার দর কষাকষি,পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাঠা ক্রয় করতে আসা, সব মিলিয়ে পাাঠা বিক্রয়ে দারুনভাবে জমেছে ফটিকছড়ির হাট বাজার।