এক সপ্তাহ পর শুরু হয়েছে ধর্মপাশা কার্যক্রম
ফারুক আহমেদ, ধর্মপাশা: গত ৫আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈপ্লবিক চাপের মুখে স্বৈরচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় পুলিশের ওপরে হামলা ও ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। তাই সারা দেশেই থেমে যায় পুলিশের কার্যক্রম। এরই আতঙ্কে অনেক থানা থেকে গাঁ ঢাকা দেয় অনেক পুলিশ সদস্য। তবে ধর্মপাশা থানার কোনো সদস্য থানা ছেড়ে কোথাও যায়নি।
জানা যায়, গত ৭ দিন যাবত ধর্মপাশা থানার পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে গেছে। জনমনে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এরই প্রেক্ষিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক ও স্থানীয় বিএনপি সহ অন্যান্য সহযোগী অঙ্গসংগঠনের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহায়তায় ধর্মপাশা থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে থানার নিরাপত্তায় শিক্ষার্থী, সেনাসদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থানা পাহাড়া দিচ্ছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ধর্মপাশা থানায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় থানার মাঠে দাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে ধর্মপাশা থা*না*র ওসি কথা বলছে।
এছাড়াও প্রত্যকের চোখেমুখে চাঞ্চল্যতার ছাপ দেখা যায়। পুরুদমে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। এসআই আমিনুর বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় নানা অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েগেছে।
ধর্মপাশা ইউনিটের সেনা সদস্য রফিক বলেন, নাশকতা ও জননিরাপত্তা প্রধানের জন্য সিলেট সেনানিবাস থেকে আমাদেরকে পাঠানো হয়েছে। আশাকরছি আপনারা তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, ৪ ও ৫ আগষ্ট দেশের বিভিন্ন এলাকায় ও থানায় এবং পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এমন হামলা থেকে আমরাও বাদ যায়নি। তাই আমরা কর্মবিরতীতে ছিলাম। তবে এখন আবার আমরা পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। তিমি আরও বলেন, আমরা ধর্মপাশা থানার কোনো পুলিশ সদস্য থানা থেকে কোথাও যায়নি থানাতেই ছিলাম।