খবরাখবর

ফটিকছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও জলাবদ্ধতা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।

ইতোমধ্যে হালদা, সর্তা খাল, ধুরুং খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শংকায় দিন যাপন করছ পাড়ের বাসিন্দারা। ভাঙ্গা বাঁধের ভাঙ্গণ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

নাজিরহাট বাজার, বিবিরহাট বাজার,নানুপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও আশে পাশের এলাকায় চরম জলবদ্ধতার সৃ্ষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।
নাজিরহাট-ঝংকার সড়কে গাছ উপরে পড়ে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে।

নাজিরহাট বাজারের ব্যাবসায়ী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন ভারী বর্ষণে নাজিরহাট বাজারে চরম জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্নন দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। এমতবস্থায় ক্রেতা বিক্রেতা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

নাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা ইমন বলেন, আমাদের বাড়িসহ আশেপাশের বিভিন্ন বাড়িতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।

সাংবাদিক কামরুল সবুজ জানান উত্তর ফটিকছড়ির, হারুয়ালছড়ি, দাঁতমারা, বাগানবাজার, নারায়ণহাট, ভূজপুরেরর বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে। প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন গ্রামীন সড়কের উপর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া সুয়াবিল, সমিতিরহাট, জাপতনগর, খিরাম, ধর্মপুর, লেলাং,পাইন্দং, সন্দুপুরসহ বিভিন্ম নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ফটিকছড়ির আরো বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকার ডুবে গেছে ববিভিন্ন সড়ক,অনেক বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।

বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে চাষের জমিসহ অনেক পুকুরের মাছ ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন,যেসব নদী খালের বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি। যেখানে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে এ মুহুর্তে জলবদ্ধতা নিরসন সম্ভব না হলেও মানুষের জানমাল যাতে নিরাপদ থাকে স্থানীয় জনপ্রতিধির মাধ্যমে খবরাখবর রাখা হচ্ছে। তবে এখনো বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য কোন রকম ত্রাণের বরাদ্দ হয়নি বলে তিনি জানান।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button