ফটিকছড়িতে বন্যার পানিতে মাছ ধরার হিড়িক
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: বন্যা কারো জন্য পৌষমাস,কারো জন্য সর্বনাশ। পুকুর ও মাছের প্রজেক্ট বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে অনেকে ক্ষতির সম্মূখীন হলেও অনেকের আশীর্বাদে পরিণত হল।
ফটিকছড়িতে বন্যার পানিতে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে। কোন কোন স্থানে তা উৎসবে পরিণত হয়েছে।
বন্যায় উপজেলার অসংখ্য পুকুর ও মাছের প্রজেক্ট ভেসে যায়। এতে বন্যার পানিতে মাছগুলো ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্রই।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালে বিলে এমনকি রাস্তায় জমে থাকা ও স্রোতের পানিতে মাছ ধরা দৃশ্য। কিছু কিছু স্থানে একসাথে অনেকে হাত জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। উৎসুক জনতা মাছ ধরার দৃশ্য দেখছেন।
মাইজভাণ্ডার নোয়াবাড়ি এলাকায় মাছ ধরতে আসা এয়াকুব বলেন,বন্যার পানিতে মাছ ধরা আনন্দের। এখানে মাছ পাওয়া যাচ্ছে শুনে বন্ধুদের সাথে নিয়ে মাছ ধরতে আসলাম।
স্থানীয়া বাসিন্দা নাজিম বলেন,বন্যা হলেই এখানে মাছ ধরার হিড়িক পড়ে। দূর দূরান্ত থেকে অনেকে মাছ ধরতে আসে। রাত কি দিন মাছ ধরার এ দৃশ্য দেখতে পাবেন।
মাছ ধরা দেখতে আসা আবুল বশর বলেন,মাছ না ধরলেও মাছ ধরা দেখতে আনন্দ লাগে।তাই নাজিরহাট থেকে এখানে মাছ ধরা দেখতে এসেছি। বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে কতটি পুকুর ও মাছ চাষের প্রজেক্ট ভেসে গিয়ে কতজন মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটার সঠিক পরিমাণ বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বুঝা যাবে বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।
তবে তিনি জানান এ বন্যায় অসংখ্য পুকুর ও মাছের প্রজেক্ট পানিতে ভেসে যায়। অনেক মৎস্য চাষি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মৎস্য চাষি মোহাম্মদ ফোরকান বলেন,আমার কয়েকটি মাছের প্রজেক্ট বন্যায় ভেসে গেল। চরম আর্থিক ক্ষতি হল আমার।
সখের মৎস্য চাষি আনোয়ার বলেন,নিজেদের পুকুরে সখের বসে মাছ চাষ করেছি। বন্যায় পুকুর ভেসে গিয়ে সব মাছ চলে গেল।