ফটিকছড়ি বন্যার পানিতে নিঁখোজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বন্যার পানিতে নিঁখোজ তিনজনরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার ১২ আগষ্ট নারায়নহাট ইউনিয়নের ইসহাক ডাক্তারের বাড়ির পূর্ব পাশে মইঙ্গে পুকুর পাড় নামক স্থান থেকে নিঁখোজ ইমরানের(২২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ইমরান উক্ত এলাকার তাজুল ইসলাম সওদাগর এর পুত্র।
জানা যায়,নিহত ইমরান নারায়ণহাট ইউনিয়ন এর মির্জারহাটের হালদার কূলে বন্যায় আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে পানিতে ভেসে গিয়ে নিঁখোজ হয়। দুইদিন পর তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত যুবকের বড় ভাই গত ৬ মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এর ৬মাস পর এমরান বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেলেন ছোট ভাই।
ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিঁখোজ রজি আহমদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিঁখোজের একদিন পর শুক্রবার
ভূজপুরের কবিরা পাড়া এলাকায় ঘটনাস্থলে তার লাশ দেখতে পাই স্থানীয়রা। তিনি উক্ত এলাকার মৃত সোলতান আহমদের পুত্র।
জানা যায়,বন্যার পানির স্রোত থেকে ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে রজি আহমদ পানিতে ডুবে যায়। ছেলেটি বিদ্যুতের খুঁটি আগলে ধরে প্রাণে বাঁচে। পরে স্থানীয়রা ছেলেটিকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাউসার সিকদার লাশ দুটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বন্যার পানিতে ডুবে নিঁখোজ হওয়া মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সামি (১০) নামে শিশুটির লাশও পাওয়া গেছে।
শুক্রবার ২৩ আগস্ট উপজেলার দাঁতমারা ইউপির শান্তিরহাট বাজারের পূর্ব পাশে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত সামি ৭ নং ওয়ার্ড সাদিনগরের ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের পুত্র বলে জানা যায়।
জানা যায়,সামি সহ তিন শিশু বন্যার পানিতে নিম্নবর্তী সড়ক দিয়ে পার হওয়ার সময় তলিয়ে গেলে বাকি দুই শিশুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও সামি নামে শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তী নিঁখোজ হওয়ার দূরবর্তী স্থানে তার লাশ দেখতে পাই স্থানীয়রা।
বাজার পরিচালানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান বলেন, আমরা স্থানীয় লোকদিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি শিশুটিকে পাওয়া যায়নি,পরদিন তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন,বন্যার পানিতে একজন শিশুসহ তিনজন নিঁখোজ হন। নিঁখোজ তিনজনরই লাশ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য ফটিকছড়িতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।