১৬ বছরে রাঙামাটিতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার পরিবার
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
১৬ বছরে রাঙামাটিতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার পরিবার, সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ এ অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিজয় হওয়ার পর ৬ জানুয়ারি ২০০৯-এ বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মত শপথ নেন শেখ হাসিনা।
২০০৯ ফেব্রয়ারি মাসে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের নির্দেশে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় আমার বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়।
২০১০ তৎকালিন আওয়ামীলীগের রাঙামাটি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মফিজুর রহমান মাইজ্জা মিয়ার নেতৃত্বে মাত্র ৪০ টাকার মোবাইল রির্চাজ নিয়ে রাঙামাটি শহরের কলেজ গেইট মটেল জজ এর পাশে আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান “বীগ-স “তে হামলা করা হয়। তার কিছুদিন পর সেই মফিজুর রহমান যোগসাজোসে আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বীগ-সি তে দিন দুপুরে চুরী করানো হয়। তার পর বাধ্য হয়ে আমি আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় করে দেই।
আমি রাঙামাটির এজেন্ট হিসেবে আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯ আগষ্ট ২০১৬ তারিখে রাঙামাটি – ঢাকা রোডে সেন্টমার্টিন পরিবহনের ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত (এসি) অত্যাধুনিক বিলাসবহুল বাস সার্ভিসের উদ্ধোধন করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন ।
এই রাঙামাটি – ঢাকা রোডে সেন্টমার্টিন পরিবহনের ব্যবসাটি আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম মিলে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে আওয়ামীলীগ দলীয় শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানকে সেন্টমার্টিন পরিবহনের রাঙামাটির এজেন্ট এর দায়িত্ব দেয়া হয়। এতে আমি ২০১৬ সালে ৩ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতির স্বীকার হই।
আমি রাঙামাটি – ঢাকা রোডে সেন্টমার্টিন পরিবহনের ব্যবসাটি আমার অধিনে ফেরত চাওয়ায় ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি সোমবার “রাঙামাটিতে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা” শিরোনামে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এ প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ২৪ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০টায় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে রাঙামাটি কোতয়ালি থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে ৫৭(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। যার জিআর মামলা নং-২৭/২০১৭, কোতয়ালী থানার মামলা নং ১১। তারিখ ২৪/০১/২০১৭।
তিনঘন্টার ব্যবধানে ২৫ জানুয়ারি রাত ১টার সময় গ্রেফতারের নামে সন্ত্রাসী কায়দায় রিজার্ভবারের আহাম্মদ খলিফার ছেলে জেলা সেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি মো. সাওয়াল উদ্দীন নেতৃত্বে আমার বাড়ি-ঘরে তান্ডব চালায় অনুমানিক ৩০ জনের মত একটি দল।
আওয়ামীলীগের গুন্ডাদের থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে আমি শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের দায়ের করা মামলা থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবাইদুল হক ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথকে নিয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ শুনানী শেষে আমাকে ৪ সপ্তাহের জন্য জামিন দেন। শুনানীর সময় উচ্চ আদালতে আমি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলাম।
উচ্চ আদালতে নির্দেশনা মতে ০১ মার্চ-২০১৭ ইংরেজি ধার্য তারিখ শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের রাজনীতি গুরু রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার ও রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম এর নিদেশে রাঙামাটির আওয়ামীপন্থী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সামস্উদ্দীন খালেদ আমার বিরুদ্ধে মানহানিসহ, পার্বত্য এলাকায় আইন শৃংখলা অবনতি ঘটানোর চেষ্টায় অভিযোগ গুরুতর বলে আমার জামিন না মন্জুর করে।
এতেও আমার প্রতি তাদের ক্ষোভ না কমায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেলকে দিয়ে আমার এবং আমার স্ত্রী জুঁই চাকমার নামে জিআর মামলা নং-৩৮/২০১, কোতয়ালী থানার মামলা নং-০৩, তারিখ : ০২/০২/২০১৭ ইংরেজি, ধারা-তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৫৭ এর (২)।
অর্থাৎ আমি যে দিন হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করি ঠিক তার পরের দিন আমাকে ও আমার স্ত্রীকে আসামী করে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের গডফাদার রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের টাকা দিয়ে আমার পরিবার ধংস করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে আরেবটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
আবারও হাইকোর্টে থেকে আমরা ৪ সপ্তাহের জন্য জামিন নিয়ে উচ্চ আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ০২/০৪/২০১৭ ইংরেজি তারিখ রাঙামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইজীবির মাধ্যমে জামিন চাইলে আওয়ামীপন্থী বিচারক মোহাম্মদ সামস্উদ্দীন খালেদ আমাদের উভয়র জামিন মন্জুর করার সুযোগ নাই বলে আমাদের ২৪ মাসের শিশু কণ্যাসহ আমাদেরকে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দেয়।
আমি জিআর মামলা নং-২৭/২০১৭, কোতয়ালী থানার মামলা নং ১১। তারিখ ২৪/০১/২০১৭। ধারা-তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৫৭ এর (২)। মামলায় ১৫দিন । আর জিআর মামলা নং-৩৮/২০১, কোতয়ালী থানার মামলা নং-০৩, তারিখ : ০২/০২/২০১৭ ইংরেজি, ধারা-তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৫৭ এর (২) মামলায় আমি, আমার স্ত্রী জুঁই চাকমা এবং আমাদের শিশু সন্তানসহ ১০ দিন রাঙামাটি জেলা কারাগারে জেল খাটি।
দুইটি সংবাদকে কেন্দ্র করে রাঙামাটির শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান ও সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানুয়ারী ও ফেব্রয়ারী মাসে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আমার ও আমার স্ত্রী জুঁইকে আসামী করে মামলা করে।
২০১৭ সালে আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এর পরামর্শে ভেদ ভেদী বাজারে আমার পিতা মৃত রুহিনী বড়ুয়া জায়গাতে জোর পূর্বক রাসেল স্মৃতি সংসদ নামে আওয়ামীলীগের অফিস ঘর নির্মান করে এবং রাঙামাটি পৌরসভার নাম দিয়ে আমাদের জায়গাতে ভেদ ভেদী পৌর কাঁচা বাজার নির্মান করে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের লোকজন।
আওয়ামীলীগ ভেদ ভেদীতে আমার পেত্রিক সম্পদ জবর দখলের সাথে যাঁরা ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, তৎকালিন মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, ভেদ ভেদী এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা মাহাফুজুর রহমান, জেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল মওলা, সদর উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগ নেতা রিটন বড়ুয়াসহ আরো অনেকজন জড়িত।
তাদের এ অপকর্মের মূল হোতা সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সে রাষ্ট্রের টাকা অবৈধ স্থাপনা গড়ার কাজে ব্যয় করেছে।
আওয়ামীলীগের দায়ের করা ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আমি ২৫ দিনের অধিক রাঙামাটি জেলে থাকাকালিন কথিত আরাকান আর্মির নেতা ডাক্তার রেনিন সুয়ে তালুকদার এর সাথে আমার ঘনিষ্টতা তৈরী হয়। সেই সুবাদে ডাক্তার রেনিন সুয়ে তালুকদার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা তার উকিল উথোয়াই মং আমাকে ফোন করে জানান।
আমি জানতে পেরে ৫ জুন-২০১৭ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে (তখন রমজান মাস) রাঙামাটি জেলখানার সামনে যাই। ডাক্তার রেনিন সুয়ে তালুকদার জেল থেকে বেরিয়ে আসলে আমি তার সাথে কথা বলছিলাম। এমন সময় চট্ট-মেট্ট্রো ১৩৪৪৬৫ নম্বরের একটি হাইয়েস গাড়িতে ডাক্তার রেনিন সুয়ে তালুকদার ও আমাকে সাদা পোষাক ধারীরা জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
গাড়িতে উঠিয়ে আমাদের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। রাঙামাটি শহরের খাদ্য গুদাম এলাকা থেকে তলবছড়ি কোতয়ালী থানার সামনে দিয়ে রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে আমাদের গাড়িটি রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কে ১ বার কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে ২ বার থামিয়ে চেক করার চেষ্টা করেন পুলিশ কিন্তু গাড়িতে থাকা লোকজন র্যাব-৭ এর পরিচয় দিয়ে পার পেয়ে যায়।
এ রাস্তা টি আমার কাছে পরিচিত আমি প্রায় সময় রাঙামাটি থেকে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে দিয়ে মোটরসাকেল নিয়ে যাতায়াত করে থাকি।
আমাদের বহনকারী হাইয়েস গাড়িটি চট্টগ্রামের বদ্দারহাট পৌছার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ১টি পুলিশ পিকাব গাড়ি আমাদের গাড়িটি সাইরেন বাজিয়ে ফতেঙ্গা র্যাব-৭ এর কার্যালয়ে নিয়ে যায় এটা ছিলো আমার ধারনা। আমার গাড়িতে থাকা আরাকান আর্মির নেতা ডাক্তার রেনিন সুয়ে তালুকদারকে নামিয়ে নিয়ে আমাকে একা রেখে গাড়ির সব লোক নেমে যায়। আমি একা গাড়িতে বসে চোখের বাঁধন সরিয়ে গাড়ি গ্লাসের ভিতর দেখি বেশ কিছু র্যাব-৭ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) লেখা গাড়ি তখন আমি ১০০/% নিশ্চিত হই এটা ক্রাসফায়ায়ের আস্তানা।
প্রায় ৪০-৫০ মিনিট পর আমাকে রেখে যাওয়া হাইয়েস গাড়িটির কাছে ১ জন লোক আসে, সে এসে আমাকে শান্তনা দেয়, সেই লোক আমাকে প্রথমে ফ্রেস পানি খেতে দেয় (আমি আমার চোখ বাঁধাবস্থায় চোখের বাঁধন সরিয়ে দেখেছি), তার পর আমার কাছে জানতে চায় আমার ধুমপান করার (সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে কি-না) আমার অভ্যস আছে বলায় সেই লোক আমাকে ১টি ব্যানসন ব্র্যান্ড এর সিগারেট জ্বালীয়ে দেয়, তার পর সেই লোকটি আমাকে সন্তনা দিয়ে বলেন, কোন চিন্তা করবেন না, আপনি (Innocent) নিরপরাধ এবং একজন সাংবাদিক আমরা জানতে পেরেছি। সেই লোকটি কথা শুনে মনে মনে ভাবলাম এবার হয়তো আমাকে ছেড়ে দেয়ার অর্ডার আসতে পারে।
(২০১৭ সালে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক ছিলো ড.বেনজির আহম্মদ)।
প্রায় ২ ঘন্টা পর আমার কছে ৪-৫ লোক আসলেন তারা গাড়িতে ওঠে আমার হাতে ও চোখের বাঁধন কিছুটা ঢিলা করে দিলেন, তার পর আমাকে বলেন, আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে, আপনি আমার কথামত কাজ করবেন আমাদের সহযোগিতা করবেন আমরা আপনাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য যাচ্ছি।
আমি তাদের কথায় রাজি হয়ে গেলাম। আমাকে নিয়ে যোওয়া গাড়িটি র্যাব-৭ এর কার্যালয় থেকে প্রথমে গ্যাস নিতে যায়, যখন গাড়িতে গ্যাস নিচ্ছে র্যাব সদস্যরা তাদের বেশ কয়েকটি (র্যাবের পোষাক) ও ব্যাগ আমার গায়ের ওপর দিয়ে আমাকে ডেকে দেয় যেন আমাকে দেখা না যায়। তার কিছুক্ষণ পর গাড়িটি আমাকে নিয়ে চলতে থাকে আমি মনে করেছিলাম চট্টগ্রাম থেকে আমাকে কাপ্তাই বা রাঙামাটির কোন ১ জায়গায় নামিয়ে দেয়া হবে। গাড়িটি কয়েক ঘন্টা চলার পর আমি আমার মাথা উপরের দিকে উচু করে চোখের বাঁধন একটু সরিয়ে দেখলাম আমাদের বহনকারী গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে, মাঝে-মাঝে সবুজ বিশাল আকারের সাইন বোর্ড দেখে আমি নিশ্চিত হই।
এক পর্যায়ে আমাকে বহনকারী হাইয়েস গাড়িটি কুমিল্লার কোন ১টি হাইওয়ে রেষ্টুরেন্টে দাঁড়িয়েছে। আমাকে গাড়ির ভিতর লক করে রেখে র্যাব সদস্যরা সেহেরীর ভাত খান। তার পর আবার গাড়িটি আমাকে নিয়ে চলতে থাকে। পথমধ্যে আমার প্রসাব চাপে আমি প্রসাব করতে চাইলে তারা আমাকে প্রসাবের জন্য খালি পানির বোতল ধরিয়ে দেয়, বোতলে আমার প্রসাব হচ্ছে বলে জানালে তারা বলে, কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আমাকে একটি মাঠে প্রসাবের জন্য নামিয়ে দেয়া হবে, মাঠে হাটাহাটি করলে আমার পায়ের গিরার ব্যাথও কমে যাবে ইত্যাদি।
এই ফাঁকে গাড়িতে আমার ঘুম চলে আসে। হঠাত চলন্ত গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গেলে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমাকে বলা হলো প্রসাব করা জন্য নামতে আমি নামতে চেষ্টা করি, আমার ২ পাশে ২জন পিছনে কোমরের বেল্ট ধরে ১জন মোট ৩জন র্যাব সদস্য আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কয়েক মিনিটের দুরত্বে নিয়ে বলে এবার যেন আমি প্রসাব করি, আমাকে ঐস্থানে রেখে র্যাব সদস্যরা দ্রুত গাড়ির দরজা বন্ধ করে জোরে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়।
অপহরণকারীদের শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মিদশায় দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা থাকার পর সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর জঙ্গলে নিজেকে আবিষ্কার করি।
আমি প্রথমে আমার হাতের বাঁধন পরে চেখের বাঁধন খুলে প্রসাব করি। আমার চোখ ও হাত বাঁধা হয়েছিলো লাল রংয়ের ২টি সুতির গামছা দিয়ে। প্রসাব শেষ করে আমি ভাবলাম রাস্তার দিকে গেলে আবার যদি র্যাব সদস্যরা আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়, সেই ভয়ে আমি পাহাড়ের সরু পথ ধরে হাটতে-হাটতে প্রায় আধঘন্টা হেটে গিয়ে পাহাড়ের ভিতর অনেক বড় লেবু বাগান দেখতে পাই, তখন আমি মনে মনে ভাবলাম এটা মনে হয় রামগড় এলাকার কোন স্থান হবে।
তার পর আমি গাড়ি চলাচলের আওয়াজ শোনে পাহাড় বেয়ে সেই দিকে যেতে থাকি। পাহাড়ে ঢালু আর লেবু বাগান ধরে চলতে গিয়ে পায়ে কাটা বৃদ্ধি হই।
বেশ কিছু সময় জঙ্গিল দিয়ে হেটে গাড়ি চলাচলের রাস্তায় পৌছি, রাস্তায় আসার পর আমার ভয় লাগে আবার কখন র্যাব এসে আমাকে তুলে নেয়, কিছুক্ষণ রাস্তায় হাটার পর কয়েকজন লোক রাস্তার পাশে বস্তায় লেবু নিয়ে বসে আছে দেখে আমি তাদের জিজ্ঞাস করলাম এদিকে রাস্তাটা কোথায় গেছে ? তারা উত্তর দিল সিলেট আর ঐদিকে রাস্তা কোথায় গেছে ? তারা জানায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট। আমি তখন বুঝতে পারলাম র্যাব সদস্যরা আমাকে সিলেট রেখে গেছে।
আমি লোক গুলোর কাছে মোবাইল ফোন চাইলে তারা বলেন, এখানে ফোনের নেট নাই। তখন লোক গুলো আমার দিকে কেন যেন কৌতুহল দৃষ্টিতে থাকাচ্ছেন। আমি রাস্তার ডান পাশ থেকে পার হয়ে বাম পাশে চলে যাই, কিছুদুর হাটার পর আমি দেখলাম পাহাড়ের গায়ে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, এবার আমি পরিস্কারভাবে বুঝতে পারলাম আমাকে হবিগঞ্জের সাতছড়ি পাহাড়ে চোখ বেঁধে রেখে গেছে রা্যব- ৭ এর সদস্য, আমার সাথে থাকা ক্যানন ১টি ক্যামেরা,১টি সিমসহ মাইক্রোসফট এর ব্র্যান্ড নিউ মোবাইল সেট, নগদ ৪২শত টাকা নিয়ে যায়, তবে ১টি ৫শত টাকার নোট সিগারেটের মত ভাজ করে আমার প্যান্টের বাম পকেটে দিয়ে যায়।
আমি রাস্তায় হাটতে হাটতে ভাবছি দৌড় দিব,না-কি ! সড়কে চলাচল করা যাত্রীবাহি বাস গুলো থামিয়ে গাড়িতে ওঠে যাব, আরো কিছু দুর হেটে যাওয়ার পর রাস্তার বাম পাশে যাত্রী ছাউনি চোখে পড়লো কাছা কাছি গিয়ে দেখলাম যাত্রীছাউনিতে ১জন লোক দাড়িয়ে আছে, আরো কাছে গিয়ে দেখলাম যাত্রীছাউনিতে দাড়িয়ে থাকা লোকটি আমার ছাত্র রতিশ দেব বর্মন, সে একজন বিজিবি’র সদস্য রাঙামাটির বরকল এ থাকাকালিন একবার ব্যাটালিয়ন আর একবার সেক্টর টিমে আমার কাছে জুডো খেলার প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
রতিশ আমার প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে একজন, তারা বিয়ের সময় তাদের বাড়িতে আমাকে নেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলো, সময়ের অভাবে রতিশের বিয়েতে যাওয়া হয়নি আমার। যাক রতিশ আমাকে দেখে বলে ওঠে স্যার আপরার চোখ-মূখ এত শুকনা কেন ? আপনারা বনভোজনে এসেছেন ? গাড়ি আপনাকে ফেলে চলে গেছে ? আমি তখন রতিশকে বলি তোমার ফোনটা আমাকে দাও, আমি সবার আগে আমার বাড়িতে যোগাযোগ করি। রতিশ জানায় পাহাড়ের নীচে নেট পাওয়া যায় না, আগে আপনি কিছু খেয়ে নিন, তার পর পাহাড়ের ওপর তাদের গ্রাম ওখানে দাড়িয়ে কথা বলা যাবে।
সিলেট-হবিগঞ্জ সড়কে পাশ দিয়ে পাহাড়ে উঠার পায়ে চলাচলের রাস্তার মুখে ১টি দোকানে গিয়ে কযেক গ্লাস পানি খেলাম, তার পর বিস্কুট আর চা খেলাম সাথে ১টি সিগারেট।
তার পর পাহাড়ি রাস্তা ধরে পাহাড়ের ওপরে গিয়ে মোবাইল ফোন নেট পেলাম, সাথে সাথে যে নম্বারটি আমার মুখস্থ ছিলো তাতে জুঁই চাকমাকে ফোন দিলাম, আমার ফোন পাওয়ার পর সে আমাকে জানায়, আগের দিন সন্ধার পর থেকে আমার ফোন বন্ধ থাকায় এবং উকিলের মাধ্যমে আমার অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে জুঁই চাকমা তাৎক্ষনিক রাঙামাটি থানায় যান এবং ওসি মোহাম্মদ রশিদের পরামর্শে সাধারন ডাযেরী (জিডি) করেন।
তার কিছুক্ষণ পর রতিশ দেব বর্মনের ফোনে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ রশিদ ভাই ফোন দেন, আমার সাথে তার কথা হয় তিনি বলেন, আমি যেন নিরাপদ স্থানে থাকি। কোতয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ রশিদ ভাই আমার সাথে কথা বলার প্রায় ২০ মিনিট পর রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান আমার সাথে কথা বলেন, তিনি আমাকে জানান, রাঙামাটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের যোগাযোগ হচ্ছে। আমাকে উদ্ধারে পুলিশ পাঠানো হবে। আমি যেন নিরাপদ স্থানে থাকি।
আমার ছাত্র রতিশ দেব বর্মনের নতুন বৌয়ের মূখ এভাবে দেখতে হবে আমার জানা ছিলোনা। রতিশ আমাকে তাদের বাড়ি থেকে পাহাড়ের নীচের দিকে নিয়ে যায়, স্নান করার জন্য, একদিকে র্যাবের হাত মুক্তি পাওয়া আর গভির নলকুপের পানি স্নান করে স্বস্তি পেলাম।
রতিশের বৌ গরম ভাত,ডাউল, ডিম ভাজি আর আলু ভাজি দিয়ে ভাত দেয়। খাওয়ার পর রতিশের শশুড়বড়ি শ্রীমঙ্গল থেকে আনা আনারস খেতে দেয়।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আজমীরুজ্জামান সাথে সাথে ফোর্স নিয়ে পৌঁছেন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পাশের গ্রামে।
আমার খাওয়ার শেষ হওয়ার পর সিলেট-হবিগঞ্জ সড়কে পাশ দাড়িয়ে পুলিশের গাড়িতে মাইক লাগিয়ে, মাইকে বলা হচ্ছে সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন আপনি পাহাড় থেকে নেমে আসুন, আমরা চুনারুঘাট থানা থেকে এসেছি, আপনাকে আমাদের সাথে নিয়ে যেতে। পুলিশের মাইকিং শোনে আমি প্রথমে ভয় পেয়ে যাই, রতিশদের গ্রামের লোকজন আমাকে সাথে নিয়ে পাহাড়ের নীচে পুলিশের গাড়ির কাছে যায়। তখন পুলিশের পিকআপ থেকে নেমে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, তিনি আজমিরুজ্জমান চুনারুঘাট থানার ওসি।
সেখান থেকে নিয়ে বিজিবি’র সিপাহী রতিশ দেব বর্মন চুনারুঘাট থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আজমীরুজ্জামান এর নিকট আমাকে নিয়ম অনুযায়ী হস্তান্তর করেন।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান সময় ক্ষেপন না করে তাৎক্ষনিক ৬ জুন-২০১৭ বেলা ৩টায় রাঙামাটি কোতয়ালী থানার এস আই লিমন বোসের নেতৃত্বে রওনা দিয়ে ৭ জুন রাত ১টার সময় চুনারুঘাট থানায় পৌছে আইনগত সকল প্রক্রিয়া শেষ করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আজমীরুজ্জামান আমাকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার এস আই লিমন বোস এবং স্ত্রী জুঁই চাকমার কাছে হস্তান্তর করেন। রাত ২টায় চুনারুঘাট থানা থেকে আমাকে নিয়ে আবার রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পরের দিন ৮ জুন-২০১৭ দুপুর ১টায় রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবার বেলা আড়াইটার দিকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় গিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রাণনিয়ে নিরাপদে সুস্থ শরীরে স্বপরিবারে আমি বাসায় আসি । তার পরের দিন আমার বাসায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তৎকালিন রাঙামাটির উপপরিচালক আমার সাথে দেখা করেন এবং আমাকে জানান, তৎকালিন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৭ (র্যাব-৭) এর মেজর ফাহিম এর নেতৃত্বে আমাকে রাঙামাটি থেকে অপহরণ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে রাঙামাটিতে প্রয়াত বিএনপি নেতা শাহ আলম ভাই ছাড়া আর কেউ আদ্যবধি জানতে পর্যন্ত চায়নি।
আমার অপহরণ বিষয়ে পাহাড়ের সাংবাদিকদের নীরব ভুমিকায় থাকতে দেখা গেছে। আমার ধারনা তাদেরকে নীরব থাকতে বাধ্য করা হযেছে। পাহাড়ে সেনাবাহিনী, ডিজিএফআই,র্যাব নিয়ন্ত্রিত সাংবাদিকরা ইচ্ছে করলেও সত্য ঘটনাগুলো প্রকাশ করার সাহস পায় না। ডিজিএফআই এর নিষেধাজ্ঞার কারণে পাহাড়ের সংবাদপত্রগুলো জিম্মি ।
অবসান হোক বৈষম্যের শ্লোগান নিয়ে, পাহাড়ে ২০১৪ সালে শুরু করা সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথ্য অধিদফতর তথ্য মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকায় অনলাইন নিউজ প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য তারিখ-২৫ জানুয়ারী-২০১৬ খ্রি. তারিখে আবেদন করা হয় কিন্তু আওয়ামীলীগের দলীয় করণ আর বৈষম্যের কারণে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম নিবন্ধন পায়নি।
আমার পরিবারের দুঃসময়ে আমাদের যাঁরা সহযোগিতা করেছেন : বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামসুল আলম স্বপন, বনপা’র সহসভাপতি আকতার চৌধুরী, আইনজীবী এডভোকেট মো. খাইরুল আলম, এডভোকেট সঞ্চয় কুমার কুণ্ডু, ইন্টান্যাশনাল নিউজ পোর্টাল এ্যালায়েন্স’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রযুক্তিবিদ ড. মো. জানে আলম রাবিদ, বনপা’র সাধারন সম্পাদক রোকনুরজ্জান রনি, অনাবিল সংবাদের প্রকাশক সরকার রুহুল আমিন, নকশী টিভির প্রকাশক মোস্তাফিজুর রহমান, এমকে টিভির প্রকাশক ইফতেখার, এডভোকেট আহাম্মদ উল্লাহ (আমান), এডভোকেট দীপেন দেওয়ান,এডভোকেট জুয়েল দেওয়ান, এডভোকেট সৌরভ দেওয়ান, এডভোকেট গফুর বাদশা, এডভোকেট মোস্তফা কামাল,দলিত জনগোষ্ঠীর নেতা ভিমপাল্লি ডেভিট রাজু, নারী নেত্রী বনানী বিশ্বাস, শ্রমিক নেতা কাজী আব্দুর রউফ, সাংবাদিক মোহাম্মদ মাঈনউদ্দিন, শ্যামল বৈদ্য, সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন।
আর আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন শুভ্রা রানী বড়ুয়া এবং আর্টিকেল ১৯ সংগঠনসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা আমি, আমার পরিবার এবং সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবার ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি-২০২৪ ইংরেজি তারিখ রাতে রাঙামাটি পৌরসভার ০৯ ওয়ার্ডের উলুছড়ি (আলুটিলা) এলাকায় আমাদের বাগান বাড়িটি আওয়ামীলীগের মদদে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
আমরা রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় আজ্ঞাত আসামীদের নামে মামলা দিলেও বর্তামান ওসি মোহাম্মদ আলি আমাদের মামলা না নিয়ে আগুনে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি ঘটে যাওয়ার বিষয়টি অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী জিডি নং : ১৩৭৮ তারিখ ২৬/০২/২০২৪ ইংরেজি অন্তর্ভূক্ত করেন।
গত ২৪ আগষ্ট-২০২৪ ইংরেজি তারিখ ৪ মাস পূর্ণ হলো, এ বিষয়ে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
প্রাথমিকভাবে আগুনে পড়ে যাওয়া ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান দশ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার চারশত দশ টাকা। অদ্যবধি আমাদের বাগান বাড়ি আগুনে পড়ে যাওয়া ক্ষয়-ক্ষতির জন্য কারো কোন সহযোগিতা আমরা পায়নি।
আমি আমাদের বাগান বাড়িটি আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায়সহ আমার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার বিচার চাই। আমার কষ্টের টাকায় গড়া সেন্টমার্টিন গাড়ির এজেন্ট ব্যবসা ফেরত চাই। গত ১৬ বছরে আমার পরিবারের প্রতি অন্যায় অত্যাচারের দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তি চাই।
আওয়ামী লীগ শাসন কাল গত ১৬ বছরে রাঙামাটিতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার পরিবার। আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ।
নির্মল বড়ুয়া মিলন
মূখ্য সম্পাদক
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা