খবরাখবর

দেড়মাস যাবৎ বন্ধ কেপিএম এর উৎপাদন, দ্রুত চালু করতে সিবিএ সংগঠনের হুঁশিয়ারি

কেপিএম এর সিবিএ সংগঠনের মানববন্ধনের ছবি

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) এর উৎপাদন বিগত দেড়মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে।

তাই দ্রুত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন চালু করতে এবং উৎপাদন বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ)।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টায় কেপিএম এর ১নং মিলস গেইটের সামনে এই মানবন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী আবু সরোয়ার এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে সিবিএ স্থায়ী এবং অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী সহ শতাধিক ব্যক্তি মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে। এসময় কেপিএম স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, তৈয়বিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক- শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত থেকে এই মানববন্ধনে শামিল হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন এমডি স্বৈরাচারের দোসর ডঃ এম এ কাদের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সাথে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করে এশিয়ার বৃহত্তম এই পেপার মিলটি বন্ধের পায়তারা সম্পন্ন করে।

তৎকালীন সময়ে এমডি এম এ কাদের মিলসটি পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য স্থানীয় কাঠ ও বাঁশ দিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে পাল্প উৎপাদন কারখানাটিও বন্ধ করে দেয়। নিজস্ব কাঁচামাল দিয়ে কাগজ তৈরীর প্রক্রিয়াও সম্পুর্ণভাবে বন্ধ করা হয় ওইসময়।

২০১৭ সালের পর থেকে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পাল্প এনে নামে মাত্র মিল চালু রাখা হচ্ছে। যেখানে বর্তমানে ২০২৪ সালে ১শত মেঃটঃ কাগজ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও সেখানে কখনো ৫ মেঃটঃ আবার কখনো ১০ মেঃটঃ কাগজ উৎপাদন করা হচ্ছে। অথচ কেপিএম এর ২টা মেশিনের মাধ্যমে এখনো মাসে ৭০-৮০ মেঃটঃ কাগজ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহন করছেনা।

সেইসাথে মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, পেপার মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে প্রাইভেট কোম্পানীগুলো তাদের কাগজের দাম বৃদ্ধি করে দিবে। এতে করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক এবং সরকারি অফিসগুলো অধিক দামে কাগজ কিনতে বাধ্য হবে।

এছাড়া ইতিমধ্যে কেপিএম সিবিএ নেতৃবৃন্দ বিসিআইসির ফেডারেশন নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের সাথে গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রনালয়ে দেখা করেছেন। উনি কারখানার উৎপাদন চালু রাখার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন, তার জন্য কেপিএমের সকল শ্রমিক কর্মচারীর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

তাই এই মানববন্ধন থেকে অতিশীঘ্রই উৎপাদন চালু রাখার এবং যে কর্মকর্তারা মিল বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের সতর্ক করা হয়েছে। যদি  তারা মিলকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করে তবে ছাত্র-শ্রমিক মিলে তাদের প্রতিহত করা হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন।

এদিকে, কেপিএম কতৃপক্ষের সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কেপিএম এর জেনারেল ম্যানেজার (উৎপাদন) মোঃ মঈদুল ইসলাম জানান, বিগত দেড়মাস যাবৎ পাল্প সংকট ও কারিগরি ক্রুটির কারণে কেপিএম এর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে কেপিএম এর উৎপাদন সচল করা হবে।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button