ভিক্টোরিয়া হাই স্কুলের আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন
আজিজুর রহমান মুন্না সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সুনামখ্যাত বিদ্যাপীঠ ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলের আয়োজনে, যথাযোগ্য মর্যাদায় ধর্মীয়ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পবিত্র ঈদ- ই- মিলাদুন্নবী (সাঃ) ১৪৪৬ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, হামদ নাত, কেরাত ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার সকাল ১১ টার দিকে ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলের হলরুমে উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, অত্র বিদ্যালয়ের সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজেদুল ইসলাম।
এ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিউল আলম, সিনিয়র শিক্ষক মির্জা গোলাম মোস্তফা, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ। এ অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, পরিচালনা করেন ভিক্টোরিয়া হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সহকারী শিক্ষক মোঃ রাশিদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক অচিন্ত কুমার মন্ডল, মোছাঃ জিয়াসমিন সুলতানা, পারভীন খাতুন , শামীম হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শিউলি খাতুন, নাজমা খাতুন, তাহমিনা খাতুন, নাহিদ লায়লা,ইলোরা খাতুন, কাওছার খান, হাবিবুল ইসলাম ও অত্র বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জগতের প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের সমস্ত আবেগ-অনুরাগ প্রাণোৎসারিত ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাসে একাকার হওয়া প্রাণ-মন-মনন আকুল করা দিন আজ। উৎসবের রোশনাইঘেরা ১২ রবিউল আউয়াল।
বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারি রহমাতুলিল আলামিন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও ওফাত দিবস বলে চিহ্নিত করা হয়।
আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ’ বছর আগে আইয়ামে জাহেলিয়াতের ঘনঘোর তমসা ছাওয়া ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে সুবহে সাদিকের সময় জাজিরাতুল আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমেনার কোল আলো করে ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়…।’
‘তৌহিদেরই মুর্শিদ’ অসভ্য, বর্বর ও পথহারা মানবজাতিকে সত্যের সংবাদ দিতে তাদের কাছে তুলে ধরেন মহান রাব্বুল আলামিনের তাওহীদের বাণী। কিন্তু অসভ্য-বর্বর আরব জাতি তার দাওয়াত গ্রহণ না করে তার ওপর নিপীড়ন শুরু করে।
বহুমাত্রিক শয়তানি চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র করতে থাকে একের পর এক। মহান আল্লাহর সাহায্যের ওপর ভরসা করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যান তিনি।
বিদায় হজের ভাষণে তিনি আল্লাহর বাণী শুনিয়েছেন মানবজাতিকে :‘আজ থেকে তোমাদের জন্য তোমাদের দিন তথা জীবনব্যবস্থা পরিপূর্ণ করে দেওয়া হলো। তোমাদের জন্য দিন তথা জীবন ব্যবস্থা হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মনোনীত করা হয়েছে।’হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইতিহাসের অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাকে মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিখ্যাত পন্ডিত মাইকেল এইচ হার্ট তার বহুল আলোচিত ‘দ্য হান্ড্রেড’ গ্রন্থে হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ’ হিসেবে স্থান দিয়েছেন।
ব্রিটিশ মনীষী সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, এই অশান্ত পৃথিবীতে তার মতো একজন মানুষের প্রয়োজন। তিনি বেঁচে থাকলে পৃথিবী জুড়ে সুখের সুবাতাস বইতো। তার আগমনে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, দুনিয়া জুড়ে তা বিস্তৃত হয়েছে।