ফটিকছড়িতে সেচ্ছাসেবীরা পরিস্কার করল বিশাল এক খাল
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি:. খালটি ভরে ছিল ময়লা আবর্জনা থেকে শরু করে লতা পাতা বিভিন্ন আগাছায়।
দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া খালটি পরিস্কার করে এক ঝাঁক সেচ্ছাসেবী।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার উদ্যেগে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডস্থ মরা খাল হিসেবে পরিচিত ডোবাটি পরিস্কার করে সাধারন ছাত্র, গাউছিয়া কমিটি ও বিডি ক্লিনের ফটিকছড়ির সদস্যরা এবং পরিচ্ছন্নতা উপকরণ বিতরণ করে সহযোগীতা করে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর সকালে নাজিরহাট জামিয়া মিল্লিয়া আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে স্বেচ্ছাসেবকদের সমাবেশ এবং পরিচ্ছন্নতা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
পরবর্তী উপজেলার নাজিরহাট পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের গুল মোহাম্মদ বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ফটিকছড়ি সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নাজিরহাট পৌর প্রশাসক মোঃ মেজবাহ উদ্দিন।
এসময় ফটিকছড়ি সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নাজিরহাট পৌর প্রশাসক মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বলেন,আপনারা জানেন বাংলাদেশে সম্প্রতি ডেঙ্গু ভায়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমাদের পৌরসভায়ও অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। ভয়াবহ অবস্থার পরিস্থিতি অবস্থার সৃষ্টি যাতে না হয় আমরা পৌরসভার মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ খালটি।
বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগীতায় এ খালটি পরিস্কার অভিযান চলছে। এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ থাকবে যেখানে সেখানে আপনারা ময়লা আবর্জনা ফেলবেননা এবং নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।
এতে উপস্থিত ছিলেন,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ড. সেলিম রেজা ,নাজিরহাট জামিয়া মিল্লিয়া আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসার ভাইস পেন্সিপাল আব্দুস সালাম শরিফী,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুমন মন্ডল অপু,নাজিরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকোশলী রাজিব বড়ুয়া,সচিব নুরুল আবসার,গাউসিয়া কমিটির সদস্য সাজ্জাদ আলম,আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মোঃ মহিউদ্দিন,সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মোঃ সাইমন প্রমুখ।
নাজিরহাট পৌরসভার উদ্যেগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সেচ্ছাসেবী এমন কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, স্বেচ্ছাসেবীদের এমন উদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘদিন ধরে অযন্ত অবহেলায় পড়ে ছিল খালটি।ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে মশার প্রজনন স্থলে পরিণতে হয়েছে। এছাড়া পানি প্রবাহও বন্ধ ছিল। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতে এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হত।
দখল ও দূষণের কারণে ঐতিহ্যবাহী খালটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে খালের প্রাণ আবার ফিরে আসতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।