খবরাখবর

আগামীকাল ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা

কেপিএম হরিমন্দিরে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি): আগামীকাল মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

বছর ঘুরে শরতের শুভ্রতা নিয়ে কাশফুলের দোলায় ঢাকঢোল, শঙ্খ ও উলুধ্বনির সাজ সাজ রবে শুরু হয়ে গেছে পূজার আয়োজন। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রস্তুতির শেষ পর্বে চলছে এ পুজা উৎসবের অপেক্ষার প্রহর গুনা।

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার পূজামন্ডপ গুলো ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যয় এবারও কাপ্তাইয়ে ৮টি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা।

বর্তমানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে পূজোর আমেজ। আগামীকাল ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। যা আগামী ১৩ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে।

কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন সূত্র জানায়,উপজেলার রাইখালী বাজার শ্রী শ্রী ত্রিপুরা সুন্দরী কালী বাড়ি পুজা মন্ডপ, চন্দ্রঘোনা শ্রীশ্রী দক্ষিণেশ্বর সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি পুজা মন্ডপ, মিশন এলাকার শ্রী শ্রী সার্বজনীন রাধাকৃষ্ণ মন্দির পুজা মন্ডপ, কেপিএম এলাকার শ্রীশ্রী কর্ণফুলী প্রকল্প শ্রী হরি মন্দির পূজা মন্ডপ, শিলছড়ি এলাকার শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির রাম সীতা সংঘ পূজা মন্ডপ, কাপ্তাই লকগেইট শ্রী শ্রী জয় কালী মন্দির পূজা মন্ডপ, ব্রিকফিল্ড শ্রী শ্রী সার্বজনীন মাত্রিমন্দির, শিলছড়ি শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ মন্দির সেবাশ্রম মন্দিরসহ এই ৮টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজা।

এদিকে আসন্ন দুর্গাপুজাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কান্তি ভট্টাচায্য জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা আমাদের প্রাণের উৎসব। ইতিমধ্যে কাপ্তাইয়ে দুর্গাপুজার সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

পূজায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হবে এবং মায়ের আরাধনা করা হবে। কাপ্তাইয়ে যেন সুশৃঙ্খল সুন্দর পরিবেশে আমরা দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারি সেজন্য কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। কাপ্তাই উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।

প্রতিটি মন্দিরেই থানা পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক দল ও মোবাইল টিম মাঠে থাকবে।

এছাড়া একজন করে ট্যাগ অফিসার দায়িত্ব পালন করবে। দেবী বিসর্জন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button