ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: বিশ্বসমাদৃত ত্বরিকা-ই-মাইজভাণ্ডারীয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক)-এর ৩৬তম উরস্ শরিফ মাইজভাণ্ডার শরিফ ‘দরবার-ই গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র গাউসিয়া হক মন্জিলে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজ ১১ অকটোবর শুক্রবার বাদে ফজর রওজা শরিফ গোসল ও গিলাফ চড়ানোর পর মিলাদ-মুনাজাতের মাধ্যমে উরস্ শরীফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। রাত ১০টায় কেন্দ্রিয় আলোচনা ও মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে।
মাহফিলে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র প্র-প্রপৌত্র, গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন, আওলাদে রাসূল হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
উরস্ শরিফ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উরস এন্তেজামিয়া কমিটি সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
উরস্ শরিফে উত্তর বঙ্গ, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং ভারত, মিয়ানমার, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার আশেক-ভক্ত অনুরক্তের আগমনে গাউসিয়া হক মনজিলসহ পুরো মাইজভাণ্ডার শরিফ এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফস্থ রওজা শরিফ সমূহ জিয়ারত,কোরাআন তেলেওয়াত,জিকির আজগরসহ ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল রয়েছেন আশেক ভক্তগণ। ক্যাম্পে ক্যাম্পে চলছে সেমা মাহফিল ও মাইজভাণ্ডারী গানের পরিবেশনা।
উরসের আগের রাতে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর রওজার সম্মুখে ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন সাংস্কৃতিক সংগঠন মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় সামা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উরস শরিফ উপলক্ষে ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট’এর গৃহীত ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন উপদেশমূলক দিক-নির্দেশনা সম্বলিত প্রচার, নগরের মুরাদপুর হতে দরবার শরিফ গেইট পর্যন্ত বিটিআরটিসি’র দিনব্যাপী বাস সার্ভিস, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
আশেক-ভক্ত-জায়েরীনের সরব উপস্থিতি শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্যে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের দল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্টের চিকিৎসাসেবা দল দায়িত্ব পালন করছে।
আগামীকাল ১২ অক্টোবর শনিবার ভোর ৬টায় হযরত কেবলার রওজা শরিফ মাঠ হতে শান-ই আহমদিয়া গেইট পর্যন্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ট্রাস্টের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
