আ’লীগের ফারুক বাহীনির হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আহত
স্টাফ পটুয়াখালী: পটুয়াখালী সদর উপজেলা আউলিয়াপুর ইউনিয়নের অফিসের হাট ৫ নং ওয়ার্ড ছোট আউলিয়াপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে পিতা পুত্রকে কুপিয়ে গুরতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার আউলিয়াপুর ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক চৌকিদার (বর্তমান মেম্বার) ও তার সাঙ্গপাঙ্গ রিতীমত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকার্ন্ড ও জমিজমার শালীশ বৈঠকের নামে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। একই বাড়ীর আব্দুস ছালাম চৌকিদারের সাথে ও ফারুক মেম্বারসহ তার ভাইদের সাথে। ফারুক মেম্বার দীর্ঘদিন আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলে আসছে।
শুধুতাই নয় ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরপরই আপন ছোট ভাই জেলা যুবদল নেতার ছত্র ছায়ায় এলকায় আবারও সন্ত্রাসী তান্ডব ও অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
আওয়ামীলীগ নেতা সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতাদের মদদ দাতা হিসেবপ এই ফারুক মেম্বার দূত হিসেবে কাজ করে।
গতো ২২.১০.২৪ মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বাজারে আসার উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে আসেন আব্দুস ছালাম চৌকিদার। বাড়ির কাছেই বাজার ও গরুরহাটে যুবদল নেতা জহির গরুর হাটের ইজারাদার বাজার বাড়ির নিকটতম হওয়ায় ছালাম চৌকিদার বাজারে আসলে জহিরের সাথে জমি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে সেখানে আউলিয়াপুরের সাবেক শ্রমিক লীগের আহবায়ক ও বর্তমান ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক চৌকিদার ওরফে মেম্বার ফারুক ঘটনা স্থলে এসে ছালাম চৌকিদারকে মারধর শুরু করেন এবং তার পিতাকে মারতে দেখে ছেলে রানা চৌকিদার ছুটে আসেন, তখন রানাকে ফারুক মেম্বারের নির্দেশে যুবদল নেতা জহিরসহ ফারুক মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী রানা ও তার পিতা ছালাম চৌকিদার কে মাথায় কোপ দিয়ে মারাক্তক জখম করে। রানা পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক বলে জানা যায়।
এলাকা সূত্রে জানাযায়, রানা ওতার বাবা আহত হওয়ার পর তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে গেলে ফারুক মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মোজাম্মেল চৌকিদার ওরফে গাঁজা মুজু তখন পথ অবরুদ্ধ করে রাখেন।, রানা তখন তার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন কে ০১৭১৩৬৭৪১৩৭ নাম্বারে ফোন দিয়ে বলেন, ভাই আমাকে ও আমার বাবাকে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে । এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদর উপজেলার আহবায়ক সুজন খবর পেয়ে ছুটে যান পটুয়াখালী হাসপাতালে।তখন, রানা ও তার বাবাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করেন। এবং রানার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশালে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করেন।
পরে সেখান থেকে শেবাচিম হাসপাতালেরর চিকিৎসক রানার অবস্থা অবন্নতি দেখলে দ্রুত তাকে রেফার করেন ঢাকা মেডিকেল। , রাত ২ টার সময় রানার মাথার অপরেশন করে মাথার খুলি ডাক্তার খুলে ফেলেন বলে জানা যায় । রানা এখন মৃত্যুর সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানান তার স্বজনরা।