ফটিকছড়িতে বিভিন্ন প্রকার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে যুবক আটক
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে এনআইডি কার্ড, জাতীয়তা সনদ, চেয়ারম্যান সনদসহ বিভিন্ন প্রকার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে আইয়ুব আলী নামের এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটকের পর ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুউপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মেজবাহ উদ্দিন ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট বাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম প্রতিরোধের নিমিত্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে এনআইডি কার্ড, জাতীয়তা সনদ, চেয়ারম্যান সনদসহ বিভিন্ন প্রকার সনদ জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে এ দন্ড প্রদান করেন।
আটককৃত আইয়ুব আলী নারায়ণহাট ইউপির যুগ্যারখীল এলাকার পশ্চিম চানপুরের শফিকুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়,আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ এনআইডি কার্ড, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, জাতীয়তা সনদ, চেয়ারম্যান সনদসহ বিভিন্ন প্রকার সনদ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তি জানান, তার কম্পিউটারের দোকান থেকে এলাকার নাগরিকদের বিভিন্ন প্রকার সনদের আবেদন করে দেন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর করেন।
অতীতেও তার জালিয়াতির কার্যক্রম ধরা পড়ায় গত ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন নারায়নহাট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে একটি মুচলেকাও প্রদান করেছিলেন কিন্তু তারপরেও তিনি তার অবৈধ কাজ অব্যহত রেখেছিলেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নারায়নহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে প্রস্তুতকৃত ৩টি জাতীয়তা সনদ জব্দ করা হয়।
আইয়ুব আলী মোবাইল কোর্টের কাছে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে নিজে স্বাক্ষর করার অপরাধ স্বীকার করায় এবং এর দরুন সরকারি বিভিন্ন কাজের বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করার অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ০২ (দুই) মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং কারাপরোয়ানামূলে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে পণ্যের মূল্যতালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শণ না করা, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা রশিদ সংরক্ষণ না করার অপরাধে লিটন দেব, রঞ্জন কান্তি পাল এবং মোঃ ওবাইদুল হক নামের ৩ ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে মোট ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এসময় উপর্যুক্ত তিন প্রতিষ্ঠান হতে খাদ্যদ্রব্যের মোড়কের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখবিহীন আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার বেকারী জাতীয় খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে ভুজপুর থানা পুলিশ ও নারায়নহাট ভূমি অফিসের কর্মচারীবৃন্দ সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড মেজবাহ উদ্দিন বলেন- ফটিকছড়িতে যেকোনো আইনবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। সকল ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।